অফসিজনে মাচায় মাচায় ঝুলছে ব্লাক বেবি তরমুজ। বরগুনার আমতলী উপজেলার পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের মো. হান্নান মোল্লার খেতেই মাচায় ঝুলছে এই তরমুজ। সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বাজারে পাওয়া যায়। এখন জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসেও সুস্বাদু তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। অসময়ের এই তরমুজের চাষ হচ্ছে আঠারগাছিয়া পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের এলাকায় ও কুকুয়া ইউনিয়নের এলাকার সাহেববাড়ী বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে আকন বাড়ি এলাকায়। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্লাক বেবি জাতের তরমুজ চাষে ওই কৃষকের ফলন বেশ ভালো হয়েছিল। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে প্রথম ফলন ঝড়ে পরে যায়। দ্বিতীয় ফলনে ভালো আয় হবে আশা করেন। অসময়ের তরমুজ হওয়ায় তারা মূল্যও ভালো পেয়েছেন। এখনো ওই এলাকার কৃষকের খেতের মাচায় ঝুলছে তরমুজ। পশ্চিম সোনাখালী গিয়ে দেখা যায়, মৌসুমে চাষ হওয়া তরমুজ মাটিতে হয়, আর অসময়ের এই তরমুজ চাষ হয় মাচায়। কৃষক হান্নান মোল্লা জানান, ১০০ শতক জমিতে তিনি এই তরমুজের চাষ করেছেন। গত জুন মাসের শেষ দিকে তিনি তরমুজের বীজ বপন করেন। এখন তার মাচায় তরমুজ ঝুলে আছে। গাছে তরমুজ আছে প্রায় তিন হাজার। তিনি জানান, বীজ কেনার পাশাপাশি অন্যান্য খরচ মিলিয়ে তার প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর এই তরমুজ বেচে তিনি ২ থেকে ৩ লাখ টাকা উপার্জন করবেন বলে আশা করছেন। কৃষক হান্নান মোল্লা জানান, একটি গাছে চার-পাঁচটি তরমুজ আসতে পারে। সবগুলো রেখে দিলে তরমুজের আকার ছোট হয়ে যায়। এ কারণে তারা দুটি করে রেখে বাকিগুলো ভেঙে ফেলেন। কুকুয়া ইউনিয়নের সাহেববাড়ী বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে আকন বাড়ি এলাকার কৃষক মো. ওমর আলীও ১০০ শতক জমিতে বেঙ্গল টাইগার তরমুজের চাষ করেছেন। তিনি জানান, বীজ কেনার পাশাপাশি অন্যান্য খরচ মিলিয়ে তার প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আর এই তরমুজ বেচে তিনি ভালো উপার্জন করবেন বলে আশা করছেন। ওই গ্রামে এ তরমুজের চাষ হতে দেখে নিজ এলাকায় এসে চাষ করেছেন। আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ঈসা বলেন, এই তরমুজের চাষ লাভজনক। মাত্র ২ মাসের ব্যবধানে এত লাভজনক ফসল আর নেই। তাই কৃষকরা এর চাষের দিকে ঝুঁকছেন। বেলে-দোআঁশ মাটিতে ভালো চাষ হচ্ছে। তিনি বলেন, তরমুজটি অসময়ে বাজারে পাওয়া যাওয়ায় ক্রেতারাও উপকৃত হচ্ছেন।