গাজীপুরের শ্রীপুরে চম্পা বেগম (৩০) নামের এক পোশাক শ্রমিককে একটি চলন্ত মিনিবাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে, ওই বাসের চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা কয়েকটি তাকওয়া পরিবহনের বাস ভাঙচুর করেন। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এমসি বাজারের তাহের সিএনজি পাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারী চম্পা বেগম ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ নিজগাঁও গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী। তিনি শ্রীপুর পৌর এলাকার বৈরাগীরচালা গ্রামের হ্যামস গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানার শ্রমিক ছিলেন। বৈরাগীরচালা এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে তিনি চাকরি করতেন। তার স্বামী শ্রীপুরে অন্য একটি কারখানায় চাকরি করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নিহতের ভাতিজা সুমন মিয়া জানান, চাচি চম্পার ছোট বোন উপজেলার নয়নপুর এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। গত শুক্রবার তার বাবা ছোট বোনের নয়নপুরের ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন। ওই দিন কারখানা সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় চম্পা তার বাবাকে দেখতে ছোট বোনের বাসায় আসেন। বাবার ও ছোট বোনের সঙ্গে দেখা ও কথা শেষে নয়নপুর থেকে মাস্টারবাড়ি তার বাসায় যাওয়ার জন্য তাকওয়া পরিবহনের মিনিবাসে ওঠেন। বাস ছেড়ে দিলে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে চালকের সহকারীর (হেলপার) সঙ্গে চম্পার বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হেলপার চম্পাকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। চম্পার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাওনা চৌরাস্তার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কংকন কুমার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ওই মিনিবাস, চালক ও হেলপারকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীর লাশ পায়নি। নিহতের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা করাসহ পরবর্তী সময়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।