এই বৃষ্টি তো এই কড়া রোদ। কখনো বৃষ্টিতে ভিজছেন। আবার পরক্ষণেই ঘেমে যাচ্ছে। আবহাওয়ার এমন বিরূপ আচরণে দেখা দিচ্ছে নানা স্বাস্থ্য জটিলতা। বিশেষ করে বাড়ছে খুসখুসে কাশি। কথা বলতে গেলেই গলা সুড়সুড় করছে। রাতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নাকের একপাশ। এসব ক্ষেত্রে অবস্থা জটিল না হলে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। তার বদলে ভরসা রাখতে পারেন গরম পানির ভাপে। চিকিৎসকদের মতে, শ্বাসযন্ত্র সামগ্রিকভাবে ভালো রাখতে বেশ কার্যকরী এই টোটকা। আর কী কী কাজে গরম পানির ভাপ সাহায্য করে, চলুন জানা যাক-
বুকে জমা কফ দূর করে: ঘামে ভেজা জামা বৃষ্টিতে ভিজলে বুকে কফ জমে যেতে পারে। এই সমস্যা দূর করতে পারেন গরম পানির ভাপ দিয়ে। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে গরম পানির বাষ্প শ্বাসনালি দিয়ে প্রবেশ করলেই শ্লেষ্মা পাতলা হতে শুরু করে। ফলে বুকে কম চাপ অনুভূত হয়। এতে বুকের মধ্যে হওয়া ঘড়ঘড় আওয়াজও কমে।
সাইনাসে আরাম দেয়: কপালের মাঝে মাইনাস গ্রন্থিতে সর্দি জমলে শুরু হয় সাইনাসের ব্যথা। কষ্টকর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গরম পানির ভাপ নিন। এটি জমে থাকা সর্দি বাইরে আনতে সাহায্য করে। মাথা ভার লাগা, মাথার এক পাশে যন্ত্রণা হওয়া বা সাইনাস টিস্যুর প্রদাহজনিত সমস্যায় আরাম দেয় গরম জলের বাষ্প। এটি বন্ধ নাক খুলতেও সাহায্য করে।
গলাব্যথা কমায়: ঠান্ডা লেগে অনেকেরই গলায় ঘা হয়। কিছু খেতে গেলে অস্বস্তি হয়। ঘুম থেকে ওঠার পরেই গলায় কাঁটার মতো কিছু বেঁধে। এই সমস্যা থেকেও আরাম দিতে পারে গরম পানির বাষ্প। কীভাবে গরম পানির ভাপ নেবেন? পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। একটি পাত্রে পানি ঢেলে মুখমণ্ডলকে সরাসরি গরম পানির ওপর রাখুন। এসময় সতর্ক থাকতে হবে যেন মুখমণ্ডল গরম পানির সংস্পর্শে না আসে। গরম পানি আর মুখের মধ্যে ৫-৬ ইঞ্চি দূরত্ব নিশ্চিত করুন। মাথার ওপর একটি তোয়ালে ধরে রাখুন। এবার নাক দিয়ে জোরে জোরে ভাপ টানতে থাকুন, যেন তা ফুসফুসে পৌঁছায়। আপনি চাইলে কেটলিতে পানি গরম করে রোল করা কাগজ অথবা পুরোনো এক্সরে ফিল্মের মাধ্যমেও নাক দিয়ে ভাপ নিতে পারবেন। অসহনীয় গরম মনে হলে কিছুক্ষণ বিরতি নিন। প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার ভাপ নিতে পারেন। প্রতি সেশনে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বেশি ভাপ নেওয়া যাবে না।