ঢাকা ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অন্যরকম

ব্যবসায়ীর ১১ হাজার বছরের জেল!

ব্যবসায়ীর ১১ হাজার বছরের জেল!

গ্রাহকের কাছ থেকে ২ বিলিয়ন ডলার চুরি করেছেন এক ব্যবসায়ী। এই অপরাধে তুরস্কে ১১ হাজার ১৯৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে তুর্কি ক্রিপ্টো সিইও ফারুক ফাতিহ ওজারকে। অর্থ পাচার, জালিয়াতি এবং অপরাধী সংগঠন তৈরির অপরাধে তাকে এই কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। খবরে বলা হয়েছে, থোডেক্স নামে ক্রিপ্টো কারেন্সি লেনদেন প্রতিষ্ঠান গঠন করেছিলেন ফারুক ফাতিহ ওজার (২৯)। তিনি ও তার দুই ভাই সেরাপ ও গুভেন আলবেনিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। ইন্টারপোলের সহায়তায় গত বছর আলবেনিয়া থেকে ফাতিহ ওজারকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার তুরস্কের একটি আদালত ফাতিহ ও তার দুই ভাইয়ের প্রত্যেককে ১১ হাজার ১৯৬ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অর্থ পাচার, জালিয়াতি এবং অপরাধী সংগঠন তৈরির অপরাধে থোডেক্সের প্রতিষ্ঠাতার ৪০ হাজার ৫৬২ বছর কারাদণ্ড আবেদন করেছিলেন। তবে আদালত কৌঁসুলির সেই আবেদন না রেখে তিন ভাইকেই ১১ হাজার ১৯৬ বছর করে কারাদণ্ড দেন। ফাতিহ ওজার তার বিরুদ্ধে আনা অপরাধী সংগঠন তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি আদালতকে বলেছেন, ‘আমি যদি কোনো অপরাধী সংগঠন প্রতিষ্ঠান করতে পারতাম, তবে নিশ্চয়ই এত কাঁচা কাজ করতাম না।’ তুরস্কে শত বা হাজার বছরের কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেয়ার জন্য শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে তুরস্ক। তারপর থেকে দেশটিতে এমন দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনা সাধারণ হয়ে উঠেছে। তুরস্কের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ফাতিহ ওজার ২০২১ সালের এপ্রিলে গ্রাহকের ২০০ কোটি ডলারসহ দুই ভাইকে নিয়ে আলবেনিয়ায় পালিয়ে যান। তবে অর্থের সঠিক পরিমাণ কত, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, ফাতিহ আলবেনিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৩ কোটি ডলার সরিয়ে নিয়েছিলেন তার তিনটি গোপন অ্যাকাউন্টে। এর অধিকাংশ অর্থই জমা করা হয় মাল্টার একটি ব্যাংকে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত