রাজধানীর ভাটারা ও গুলশান থানার দুটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ১১টি চোরাই মোটরসাইকেল ছাড়াও একটি চোরাই সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগ। সেই সঙ্গে চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য মো. রিপন মাতাব্বর ওরফে রফিকুল ইসলাম ওরফে রিপন হাওলাদার ও তার মো. বাদল মাতাব্বর নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা সম্পর্কে আপন ভাই। তারা আট বছরে দুই শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করেছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। গতকাল রোববার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি। ডিবি প্রধান বলেন, ডিএমপির ভাটারা ও গুলশান থানার দুটি মোটরসাইকেল চুরির মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে বাদল মাতাব্বর ও রিপন মাতাব্বর নামে আপন দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে একদিনের রিমান্ডে তাদের দেওয়া তথ্যমতে গত শনিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে পাঁচটি চোরাই মোটরসাইকেল ও গাজীপুরের কালীগঞ্জ থেকে আরও ছয়টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ একটি সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারদের অপরাধের কৌশল সম্পর্কে জানিয়ে এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার রিপন মাতাব্বর ও বাদল মাতাব্বরের চক্রে আরো কয়েকজন রয়েছে। কেউ মোটরসাইকেল পার্কিং করে রেখে গেলে বাদল মাতাব্বর মোটরসাইকেল মালিকের গতিবিধি লক্ষ্য রাখত। আর তার বড় ভাই রিপন মাতাব্বর নিজের সঙ্গে থাকা ‘আলিবাবা’ খ্যাত মাস্টার কি ব্যবহার করে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সেই মোটরসাইকেল চালু করে সেটি নিয়ে পালিয়ে যেত। হারুন অর রশীদ জানান, গ্রেপ্তাররা গত ৮ বছরে রাজধানীর ভাটারা, বাড্ডা, গুলশান, বনানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল, টিএসসি, নগর ভবন, গুলিস্তান, ধানমন্ডি লেক, উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, কদমতলীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে দুই শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করেছে। পুলিশের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে রিপন মাতাব্বরের নামে তিনটি মাদকসহ ২০টি চুরি মামলা ও তার ভাই বাদলের নামে তিনটি চুরি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। ডিবি প্রধান বলেন, চুরি করা এসব মোটরসাইকেল কম টাকায় ক্রয় করে যারা ব্যবহার করে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। এ সময় চালকদের সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে যেখানে সিসিটিভি বা দারোয়ান আছে, সেসব স্থানে মোটরসাইকেল রাখার অনুরোধ জানান গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।