সারাক্ষণ যারা ল্যাপটপে কাজ করেন তাদের একটি সমস্যায় প্রায়ই পড়তে হয়, সেটা হচ্ছে- ল্যাপটপের গতি কমে যাওয়া। ল্যাপটপ স্লো হলে প্রথমে দেখতে হবে যে, এমন কোনো অ্যাপ আছে কি না, যা অত্যধিক মেমোরি ব্যবহার করছে। এছাড়াও একবার নিজেদের ল্যাপটপ রিস্টার্ট করতে হবে এবং দেখতে হবে, সেই সমস্যাটি সমাধান হয়েছে কি না। যদি এভাবে ঠিক না হয়, তাহলে যে কাজগুলো করতে পারেন- ১. প্রথমেই খুঁজে বের করুন আপনার ল্যাপটপে কোনো ভাইরাস এফেক্টেড হয়েছে কি না। ভাইরাস, ম্যালওয়্যার পরীক্ষা করতে একটি অ্যান্টিভাইরাস স্ক্যানার চালু করতে হবে। ২. অপ্রয়োজনীয় একাধিক ফাইল জমে ল্যাপটপে গতি কমে যেতে পারে। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত বা নিতান্ত অপ্রয়োজনীয় ফাইল রিসাইকল বিনে পাঠিয়ে দেওয়াই ভালো। ৩. ল্যাপটপের গতি বাড়াতে হার্ড ড্রাইভের জায়গা খালি রাখা খুবই জরুরি। কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভ সম্পূর্ণ ভরে রাখা একেবারেই উচিত নয়। অনেকেই মনে করেন হার্ড ড্রাইভের ৮৫ শতাংশ ভরে গেলেই তা যন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলতে শুরু করে। এতে প্রায় ৫০ শতাংশ গতি হ্রাস পেতে পারে ল্যাপটপের। ডাউনলোড করা প্রোগ্রাম, ছবি, গানের লাইব্রেরি হার্ড ড্রাইভের ওপর চাপ বাড়ায়। এজন্য অপ্রয়োজনীয় ফাইল সরিয়ে ফেলুন। ৪. ব্রাউজার পরিষ্কার রাখাও জরুরি। সারাদিনের ইন্টারনেট সার্ফিংয়ের ওপরও ল্যাপটপের গতিনির্ভর করে। একসঙ্গে অনেক ট্যাব খুলে রাখার অভ্যাস আছে অনেকেরই। এতে ব্রাউজার ওভারলোড হয়ে গতি কমে যায় ল্যাপটপের। পাশাপাশি ব্রাউজিং হিস্ট্রি জমিয়ে রাখবেন না। নিয়মিত পরিষ্কার করুন। ৫. ল্যাপটপ চালু না হলে, পাওয়ার, এক্সটার্নাল ডিভাইস এবং ডিসপ্লে চেক করুন। যদি কারও ল্যাপটপ চালু না হয়, তাহলে প্রথমে নিজেদের পাওয়ার সাপ্লাই চেক করতে হবে। যদি এটি ঠিক থাকে এবং ল্যাপটপ চার্জ না হয়, তাহলে এটির সঙ্গে কোনো বাহ্যিক ডিভাইস সংযুক্ত আছে কি না তা পরীক্ষা করতে হবে। এরপর ডিসপ্লে ঠিক আছে কি না চেক করতে হবে। এইচডিএমআই তারের মাধ্যমে একটি বাহ্যিক ডিসপ্লে সংযুক্ত করতে হবে এবং ল্যাপটপ চালু হয় কি না তা দেখতে হবে। যদি কোনো কিছুই কাজ না করে, তাহলে অভ্যন্তরীণ হার্ডওয়্যারে সমস্যা হতে পারে।