পুলিশের রমনা জোনের সাবেক এডিসি হারুন অর রশীদের নির্যাতনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাইম তরল খাবার ছাড়া কিছু খেতে পারছেন না। তবে অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো হয়েছে।
গতকাল তার ভাগিনা জাহাঙ্গীর আলম জানান, আগের চেয়ে অবস্থা একটু ভালো হয়েছে। ঘাড় বাঁকা হয়ে যাওয়ায় খাবার খেতে কষ্ট হচ্ছে। নাইমের মুখে ঠোঁটে আঘাতের কারণে তরল ছাড়া কিছু খেতে পারছে না। স্যুপ, জুস দেওয়া হচ্ছে। বুকেও প্রচণ্ড আঘাত জানিয়ে তিনি বলেন, বুকের ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় ডাক্তার আরো কিছু টেস্ট দিয়েছে। রিপোর্ট এলে বিস্তারিত জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশের রমনা জোনের এডিসি হারুন অপর এক বিসিএস নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈমকে সঙ্গে নিয়ে ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী ঘটনাস্থলে গেলে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে এডিসি হারুন শাহবাগ থানা থেকে ফোর্স পাঠিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় নিয়ে যান। সেখানে তাদের ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। ওই ঘটনার পরদিন রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের নির্দেশে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। এর আগে রোববার এডিসি হারুন অর রশীদকে বদলি করে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজম্যান্ট (পিওএম) এ সংযুক্ত করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পরই হারুন অর রশীদকে ফের বদলি করা হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যায় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের স্বাক্ষর করা এক আদেশে অভিযুক্ত হারুনকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে বদলি করা হয়।
এদিকে পুলিশ কর্মকর্তা এডিসি হারুন অর রশিদের নির্যাতনে আহত ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন নাঈমকে দেখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। গতকাল দুপুর পৌনে ১টার দিকে তিনি বিএসএমএমইউ’তে যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কেএন রায় নিয়তি।
তিনি বলেন, ডিএমপি কমিশনার বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন ছাত্র নেতা নাঈমকে দেখতে গিয়েছেন। তিনি সেখানে নাঈমের স্বাস্থ্যগত খোঁজখবর নেন।