ট্যুরিস্ট পুলিশের হেডকোয়ার্টারের ডিআইজি মো. আবু কালাম সিদ্দিক বলেছেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার হবে দেশি-বিদেশি পর্যটকের জন্য শতভাগ নিরাপদ একটি অঞ্চল। এ পর্যটন জেলার সম্ভাবনাময় সব পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নানাভাবে কাজ চলছে। ইতিমধ্যে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে সার্বক্ষণিক নজরধারী শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব স্পট ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও বসানো হবে এই ক্যামেরা।
গতকাল দুপুরে কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের সম্মেলন কক্ষ কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি মো. আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, পর্যটন জাতীয় অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে দেশীয় পর্যটকের সাথে বিদেশি পর্যটকের আগমন বাড়ানো গেলে জাতীয় অর্থনীতিতে রাজস্ব বাড়বে। এর জন্য একটি নিরাপদ পর্যটন জোন করতে যা যা করা প্রয়োজন তাই করবে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটকের নিরাপত্তায় সকল ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করলে নিরাপদ পর্যটন অঞ্চল তৈরি সম্ভব। এর জন্য সরকারের আইন মেনে পর্যটকদের কক্ষ ভাড়া প্রদান, খাবার বিক্রি, সুন্দর ব্যবহার জরুরি। কেউ আইন অমান্য করতে তা মেনে নেয়া হবে না।
সভায় পর্যটন খাতে নানা জটিলতা, সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতরা, যা আলোচনা করে সমাধানের প্রতিশ্রুতিও
দেন ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি। এতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা, কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার, সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।
মতবিনিময় শেষে সমুদ্রসৈকতে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিদর্শনের যান ট্যুরিস্ট পুলিশের হেডকোয়ার্টারের ডিআইজি মো. আবু কালাম সিদ্দিক।