জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, সারা দেশে ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ায় মূল্য বৃদ্ধিসহ স্যালাইনের কৃত্তিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। এমনিতে কোনো সংকট নেই। কোম্পানিগুলো ২৪ ঘণ্টা উৎপাদন করছে। সংকট হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে কিছু ব্যক্তির কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে।
গতকাল রাজধানীর কাওরান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সভা কক্ষে আয়োজিত এক আলোচনায় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্যালাইনের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, আজ সারা দেশে অভিযান চালানো হবে। এ বিষয় কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। স্যালাইনের গায়ে যে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য দেওয়া আছে, তার চেয়ে এক টাকাও বেশি বিক্রি করা যাবে না। আমি স্পষ্টভাবে এটি সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিতে চাই। এরপরও যদি বেশি দামে স্যালাইন বিক্রি হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব আমরা।
স্যালাইনের মূল্য নিয়ে কোথায় সমস্যা তা চিহ্নিত করতে হবে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, স্যালাইনের গায়ে যেটা লেখা আছে সেটা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য। এর বাইরে এক টাকাও বেশি বিক্রি করা যাবে না।
তিনি বলেন, আমরা আজ স্যালাইনসংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বসেছি। আপনাদের কথা শুনব, তবে কৃত্রিম সংকটের কথা বলে বাড়তি দাম নেওয়া যাবে না। স্যালাইনের সোর্স আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোই। স্যালাইন তো আর ভ্যানে বিক্রি হয় না। ডিস্ট্রিবিউশন চেইনের মাধ্যমে ফার্মেসিতে বিক্রি হয়। এটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত। এটা কিন্তু ডাব বা কাঁচা মরিচ না। খুচরা মূল্য যা লেখা আছে তাই বিক্রি করতে হবে। যতক্ষণ মজুত আছে ততক্ষণ সেই দামেই বিক্রি করতে হবে। স্যালাইন কম আছে আর চাহিদা বেশি আছে এই সুযোগে দাম বাড়ানো যাবে না। আইন অনুযায়ী ভোক্তা প্রতারিত হলে বা তার কাছ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা আদায় করা হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আমাদের দায়িত্ব। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামে গত পরশুদিন অভিযান হয়েছে। দুইটা দোকানে অভিযানের পর অনেকে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে গেছে। অভিযানের কথা শুনে ফার্মেসি বন্ধ করে রাখবেন সেটাও তো হয় না। স্যালাইনের জন্য মানুষের হাহাকার। অনেকে বলছে, স্যালাইন ফার্মেসির ভেতরে কার্টনে কার্টনে পাওয়া যাচ্ছে। সভায় স্যালাইনের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্টরাসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।