যথাযথ পেশাদারিত্ব ও শুদ্ধতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। গতকাল বুধবার বিকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব ইন্টেগ্রিটিতে পুলিশ সদস্যদের শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২১-২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আইজিপি বলেন, শুদ্ধাচার একটি সমষ্টিগত বিষয়। আমরা যারা সরকারি দায়িত্বে¡ নিয়োজিত আছি, দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে। আবার সততাও বজায় রাখতে হবে। শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা প্রত্যেকে নিজ নিজ ইউনিটে শুদ্ধাচারের প্রতিনিধি হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। যাতে আপনাদের দেখে বাংলাদেশ পুলিশের সব ইউনিটের সদস্যরা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে উজ্জীবিত হয়। তিনি আরো বলেন, আজকে আমরা যাদের শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত করেছি, তার চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক পুলিশ সদস্য তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে শুদ্ধাচারের চর্চা করে থাকেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জঙ্গিবাদণ্ডসন্ত্রাসবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য পুলিশের সব ইউনিটের সদস্যরা একসঙ্গে কাজ করেছেন বলেই দেশে একটি স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় ছিল। ফলে দেশের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে অনুভুতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের এসআই (নিরস্ত্র) আকরাম হোসেন। আইজিপি শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট তুলে দেন। শুদ্ধাচার পুরস্কার হিসেবে এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) ব্যারিস্টার মো. হারুন-অর-রশিদ সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামসহ অতিরিক্ত আইজিপি এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত ২১৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে দুইজন ডিআইজি, একজন লে. কর্নেল, একজন অতিরিক্ত ডিআইজি, ১৫ জন পুলিশ সুপার, ১৩ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ১০ জন সহকারী পুলিশ সুপার, ২১ জন পুলিশ পরিদর্শক, ৩৭ জন সাব ইন্সপেক্টর, চারজন সার্জেন্ট, ১৯ জন সহকারী সাব ইন্সপেক্টর, পাঁচজন নায়েক, ৭৮ জন কনস্টেবল, একজন সিপাহি এবং ১০ জন সিভিল স্টাফ রয়েছেন।