জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী একটি পদক্ষেপ উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, সমাজ ও দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ব্যক্তির পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের উদ্যোগ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে দুই দিনব্যাপী ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন এবং বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) কমিটি এই কর্মশালার আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এপিএ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ এস মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এপিএ ফোকাল পয়েন্ট রাজিব মাহমুদ সামিম পারভেজ স্বাগত বক্তব্য দেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা আরও দক্ষ হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবার মান আরো উন্নত হবে। বৈষম্যহীন দৃষ্টিভঙ্গী ও গুণগত মান বজায় রেখে সততা, নিষ্ঠা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে সেবা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের প্রতি উপাচার্য আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দের অংশগ্রহণে দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালার উদ্বোধনী দিনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মো. কামরুল হাসান ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি: প্রক্রিয়া, গঠন এবং বাস্তবায়ন’ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ফজলুর রহমান জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।