কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে সব ধরনের নিত্যপণ্য, কাপড়, স্বর্ণ, পাইকারি-খুচরা মুদি দোকান ও জুতার দোকানসহ প্রায় সবকিছুই ছিল একটি চত্বরজুড়ে। ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নানা ধরনের ক্রেতায় মুখরিত থাকত রাজধানীর মোহাম্মদপুরের অন্যতম জনপ্রিয় কৃষি মার্কেট। একদিনের ব্যবধানেই পুরো মার্কেট এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। দোকানগুলো দাঁড়িয়ে থাকলেও ভেতরে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে প্রায় সবই। দিন-রাত জমজমাট থাকা মার্কেটজুড়ে এখন শুধুই পোড়া গন্ধ। কৃষি মার্কেটের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী যার যার দোকানের সামনে নির্বাক হয়ে বসে থাকছেন। তাদের দুচোখে যেন অনিশ্চয়তার ছাপ। কেউ কেউ ভেতরের পোড়া স্তূপ সরিয়ে নিচ্ছিলেন। বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে কী করবেন কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। তবে ব্যবসায়ীরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে চান, সহায়তা চেয়েছেন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন তারা। এদিকে, গতকাল কৃষি মার্কেটের সামনে জেলা প্রশাসনের পক্ষে একটি বুথ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরাও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তালিকায় নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্তি করছেন। ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের একটি তালিকা করা হবে। তারপর আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তাদের মানবিক সহায়তা করার চেষ্টা করব। গত বৃহস্পতিবার ভোর ৩টা ৪৩ মিনিটে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে প্রথমে সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভোর ৩টা ৫২ মিনিটে। পরে ধাপে ধাপে ইউনিট বেড়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট। প্রায় ৬ ঘণ্টা পর সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। তবে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।