যমুনা নদীর পানি কমতে থাকায় সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ভাঙ্গন এলাকার অনেক বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমি। এ ভাঙ্গন রোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিৎ কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে যমুনার পানি ক্রমাগতভাবে কমছে। এতে যমুনার তীরবর্তী বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের বেশকিছু স্থানে এই ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ ভাঙ্গনের তীব্রতা বাড়ছে। তবে চৌহালী উপজেলার বিনানই, চরসলিমাবাদ এলাকার বসতভিটা ও ২টি মসজিদসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এতে ওই ভাঙ্গন এলাকার ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ, দুটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বাজারসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পানি উন্নয়ন বোর্ড চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ভাঙ্গন স্থানে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এরইমধ্যে এ ভাঙ্গন নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং এখন আতঙ্কের কিছু নেই। চৌহালী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, যমুনার পানি কমতে থাকায় ভাঙ্গনও কিছুটা বেড়েছে। তবে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড এ ভাঙ্গন রোধে কাজ করছে। এতে বর্তমানে ভাঙ্গন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া বন্যা ও ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।