পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খান সাইফার মামলায় জামিন পেতে ইসলামাবাদের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। গতকাল শনিবার জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন। এর দুইদিন আগে একটি বিশেষ আদালত তার জামিন আবেদন বাতিল করে দেয়।
জানা গেছে, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনে মুক্তির জন্য সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন। বর্তমানে ইমরান খান অ্যাটক জেলে বন্দি রয়েছেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, প্রসিকিউশন মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করেছে। এতে বলা হয়, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট সম্পর্কিত মামলাগুলোর শুনানির জন্য তৈরি বিশেষ আদালত প্রসিকিউশনের বেশ কয়েকটি অনিয়ম ও বিতর্কিত বিষয়কে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করেছে।
কী এই সাইফার মামলা? প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র রয়েছে, এ অভিযোগ ছিল ইমরানের। আর সেই অভিযোগের প্রমাণ দিতে গিয়ে তিনি একটি নথি প্রকাশ্যে আনেন। জনসভায় তা প্রদর্শনও করেন। সেই নিয়েই ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
যদিও ইমরানের দাবি, তিনি যা দেখিয়েছিলেন তা সাইফার অর্থাৎ গোপন খবরের সাংকেতিক রূপ নয়।
গত ৫ আগস্ট তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ৩ বছরের সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত। এর পাশাপাশি ১ লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়েছিল তাকে। যদিও এই মামলায় জামিনের পরই সাইফার মামলায় ইমরানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।