নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল রোববার কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন। এরপর তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। অন্যদিকে বিদেশি একজন সাক্ষী নেওয়ার আবেদনের ওপর শুনানি করে দুদক। এ আবেদনটি করা হয় ২০১৮ সালে। শুনানি শেষে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত। খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া বিষয়টি জানিয়েছেন। এর আগে, গত ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত। ২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
এদিকে নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিতে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে তিনজন সাক্ষী আসবেন বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। গতকাল রোববার সুপ্রিমকোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, নাইকো দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালে বিদেশি সাক্ষী হাজির করতে অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের শুনানি শেষে আদালত আজ সাক্ষী হাজির করতে অনুমতি দিয়েছেন। সাক্ষীরা কবে আসবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটির এখনো দিন-ক্ষণ ঠিক হয়নি। এর আগে কেরানীগঞ্জ কারাগার-সংলগ্ন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান সাক্ষী আনার আবেদন মঞ্জুর করেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যার্টনি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। বেগম জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।