কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সুদের টাকা না পেয়ে মারপিট করায় একজন দিনমজুর আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সকালে কয়া ইউনিয়নের কারিগর পাড়া মধ্যেপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মৃত দিনমজুরের স্ত্রীর দাবি তার স্বামীকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
মৃত ব্যক্তি কয়া ইউনিয়নের কারিগর পাড়া মধ্যেপাড়া গ্রামের মৃত নঈম উদ্দিন মালিথার ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৫৫)।
সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী ঝরনা জাহানারা খাতুন জানান, তার স্বামী কয়া কামারপাড়া এলাকার নাসিরউদ্দিন ওরফে নছোর তিন ছেলে বিপ্লব, পিপলু ও নয়নের কাছে থেকে সুদে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেন। সময়মতো সুদ দিতে না পারায় গত শনিবার সুদে কারবারিরা তাদের বাড়ির জমি দখল করে সীমানা পিলার দিতে গেলে তিনি ও তার স্বামী বাধা দেন। এ সময় সুদে কারবারিরা তাদের দুইজনকে মারধর করে চলে যায়। ওই দিনই তিনি মেয়েকে স্বশুর বাড়ি রাখতে যান এবং রোববার সকালে বাড়ি ফিরে এসে তার স্বামীকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। তিনি আরো জানান, বাড়িতে এসে দেখতে পান সুদে কারবারিরা তাদের বাড়ির জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছে। তিনি এলাকাবাসীকে ডাকলে সুদে কারবারিরা চলে যায়। তিনি দাবি করেন কেউ বাড়িতে না থাকার সুযোগে সুদে কারবারিরা তার স্বামীকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকিবুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।