ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গজারিয়ায় ৭৫ বছর পর হচ্ছে মেঘনা সেতু

গজারিয়ায় ৭৫ বছর পর হচ্ছে মেঘনা সেতু

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে সদর উপজেলা ও গজারিয়া উপজেলায় মতবিনিময় সভা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেলার একটি বিচ্ছিন্ন উপজেলা গজারিয়া। নদী বেষ্টনীর কারণে উপজেলা থেকে জেলা সদরের সহজতর যোগাযোগের মাধ্যম মেঘনা নদী। আর নদী পারাপারে ব্যবহৃত হয় একমাত্র নৌযান ট্রলার। ঝড়-বৃষ্টি এবং উত্তাল মেঘনা ঢেউ উপেক্ষা করে প্রায় ৭৫ বছর ধরে যাতায়াত করে আসছে উভয় পাড়ের মানুষ। এই উপজেলার প্রায় ২ লাখ মানুষের দাবি একটি সেতু। আর এই দাবি পূরণের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে মুন্সীগঞ্জ ও গজারিয়া অংশে মেঘনা নদীতে সেতু তৈরির জন্য মাটি পরীক্ষার কাজ শেষে প্রকল্পটির সমীক্ষা কাজ চলছে। গজারিয়া-মুন্সীগঞ্জ সড়কে মেঘনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা কাজের ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন প্রভাব নিরূপণ সম্পর্কিত এক মতবিনিময় সভা মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় সম্প্রতি হয়।

জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হলে উত্তাল মেঘনা নদী কিংবা নারায়ণগঞ্জ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কযোগে ৭০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। যেখানে ২ কিলোমিটারের একটি ব্রিজ হলেই কয়েক মিনিটের ব্যবধানে নির্ভয়ে পারাপার হওয়া যায় গজারিয়া থেকে মুন্সীগঞ্জ কিংবা মুন্সীগঞ্জ থেকে গজারিয়া। এই ব্রিজ নির্মিত হলে শুধু মুন্সীগঞ্জ নয় দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যানবাহন জনসাধারণও এই পথে ভবেরচর হয়ে চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাতায়াত করতে পারবেন। এতে খুব সহজেই যাত্রীবাহী যানবাহনসহ পণ্যবাহী গাড়ি অতি সহজেই দক্ষিণাঞ্চল থেকে কুমিল্লা, লাকসাম, ফেনী, বি.বাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান যাতায়াত করতে পারবে।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. সমর কুমার ব্যানার্জী বলেছেন, বিবিএ যে ব্রিজ করবে তাতে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করেই বাংলাদেশে সব ব্রিজ হবে। মেঘনা নদীর ওপরে ২ কিলোমিটারের বেশি একটি ব্রিজের সঙ্গে আরো কিছু ছোট ব্রিজ আছে। এই ব্রিজ যখন কনস্ট্রাকশন হবে তখন পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না। পরিবেশ-সংক্রান্ত বিধিমালা আছে বাংলাদেশে। সেই বিধিমালাকে অনুসরণ করা হবে এবং সেই বিধিমালা অনুসারে এই প্রজেক্ট কিন্তু রেড ক্যাটাগরির হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে যে ছাড়পত্র দরকার, হবে সেটা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত