ঢাকা ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ড. একে আব্দুল মোমেন

সরকার বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর

সরকার বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে তার সরকারের দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি গত সোমবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৈনন্দিন কর্মসূচি সম্পর্কে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করার সময় এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অহিংস নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বিশেষে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা প্রদর্শন করতে হবে। ইনশাআল্লাহ, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব।’ এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য তারা সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বলেন, নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসি একটি আইনের আওতায় গঠিত এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করেন না।

তিনি আরো বলেন, ‘এমনকি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনারদের অপসারণ করতে পারেন না। কোনো সরকারি কর্মচারী অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে ইসি তাকে সাময়িক বরখাস্ত বা শাস্তি দিতে পারে।’ তিনি বলেন, ভোট কারচুপি হলে ইসি কোনো ভোটকেন্দ্রের ভোট বাতিলও করতে পারে। তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনকে (নির্বাচন সংক্রান্ত) নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের বিষয়ে মোমেন বলেন, আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সম্পর্ককে আরো জোরদার ও মজবুত করতে চান।’ একজন বন্ধু অন্য বন্ধুকে পরামর্শ দিতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের অনেকগুলো পরামর্শ গ্রহণ করেছি। যদি পরামর্শটি বাস্তবসম্মত হয় তবে আমরা অবশ্যই সেটি গ্রহণ করব।’

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি সম্পর্কে মোমেন বলেন, যারা নির্বাচন বানচাল করবে তাদের জন্যই যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য ভালো কারণ আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত। আমরা চাই এখানে কেউ যেন ভোট বির্ঘিœত করতে না পারে এবং সহিংসতা করতে না পারে। সুতরাং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি।’

ড. মোমেনের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এবং ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শার্লি আয়োরকার বচওয়ে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। গত সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে বৈঠকে তারা আগামীতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শার্লি আয়োরকার বচওয়ে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে একটা একক সিদ্ধান্ত নিতে এবং আগামী জলবায়ু সম্মেলনে তা তুলে ধরার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামে বাংলাদেশের নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি পূরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড’ চালুকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়নের কথা তুলে ধরে ড. মোমেন বাংলাদেশে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় সুযোগ গ্রহণ করতে বিশেষকরে ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। ঘানাতে বাংলাদেশ মিশন স্থাপন অথবা অনারারি কনসাল জেনারেল নিয়োগের অনুরোধ জানান ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ড. মোমেন ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত