দেখতে অনেকটা বেল কিংবা তরমুজের মতো। এই ফলটি সাম্মাম বা রকমেলন হিসেবে পরিচিত। মধ্যপ্রাচের বিভিন্ন দেশে এই ফলটির চাষাবাদ হয়ে থাকে। বিশেষ করে মরুভূমির দেশগুলোতে এর ব্যাপক পরিচিত রয়েছে। নরসিংদীতে বাণিজ্যিকভাবে সাম্মাম ফল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন আশরাফুল ইসলাম আসিব নামে পুলিশের এক সদস্য। পাঁচদোনার নেহাব গ্রামে নিজের বাড়ির পাশে ২০ শতাংশ জমিতে মালচিং প্রদ্ধতিত্বে প্রথম বারের মতো সাম্মাম ফল চাষ শুরু করেন তিনি। আশরাফুল ইসলাম আসিফ জানান, গত চার মাস আগে ইউটিউব দেখে সখের বসে সাম্মামের বিজ সংগ্রহ করে তা রোপণ করেন। পরে সেই বিজ থেকে ১ হাজার চারা তৈরি হয়। আর এসব চারা দ্রুত বড় হয়ে গাছে ফল ধরতে শুরু করে। বর্তমানে তার বাগানে প্রতিটি গাছেই ফলন ধরেছে। একেকটি ফলের ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত। এসব ফল স্থানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি অনলাইনেও বিক্রি করছেন তিনি। পাইকার ও খুচরা ক্রেতারা বাগান থেকে এই ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। উদ্যোক্তা আশরাফুল ইসলাম আসিফ আরো জানান, বিদেশি এ জাতের ফল চারা রোপণের এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে গাছগুলোয় ফল ধরা শুরু করে। বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ মাসে এই ফলের চাষাবাদের উত্তম সময় হলেও কম বেশি সারা বছরই এর চাষাবাদ করা যায়। দেখতে অনেকটা বাঙ্গি বা তরমুজের মতো হলেও ফলের ভেতরটা অনেকটা গাড়ো হলুদ বর্ণের। স্বাদে ও গন্দে অতুলনীয়। খেতে সুস্বাদু হওয়ায় স্থানীয় বাজারগুলোতেও রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা। সাম্মাম ফল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করছেন। এদিকে বিদেশি এই ফল চাষে সফলতা দেখে অনেকেই এখন সাম্মাম ফল চাষে ঝুঁকছেন। প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই উদ্যোক্তা আসিবের বাগানে এসে এর চাষাবাদে পরামর্শ নিচ্ছেন। নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান জানান, উচ্চ মূল্যের এই ফল চাষাবাদে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ এই ফল চাষাবাদের বিস্তার ঘটাতে পারলে কৃষক লাভবানের পাশাপাশি দেশে পুষ্টির চাহিদাও অনেকাংশ পূরণ হবে বলে জানান তিনি।