ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

টিকটকে কমিউনিটি গাইডলাইনস

টিকটকে কমিউনিটি গাইডলাইনস

জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটক বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষের জনপ্রিয় বিনোদন মাধ্যম। ক্রমশ প্ল্যাটফর্মটি নিছক বিনোদনকে ছাড়িয়ে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়েছে। অনেক ক্ষমতার সাথে সাথে অনেক দায়িত্ব চলে আসে। সেই ভিত্তিতেই প্ল্যাটফর্মটি ডিজাইন করেছে এর কমিউনিটি গাইডলাইনস। টিকটক কমিউনিটি গাইডলাইনস মূলত একটি শক্তিশালী কাঠামো, যা কনটেন্ট তৈরি এবং প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারকারীদের আচরণকে সঠিক পথে রাখতে তৈরি করা হয়েছে; যেখানে রয়েছে কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা। বিদ্বেষপূর্ণ উক্তি এবং হয়রানির বিরুদ্ধে অবস্থান : একটি অনলাইন ইকোসিস্টেম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় হেইট স্পিচ বা বিদ্বেষপূর্ণ উক্তি এবং হয়রানির মাধ্যমে। এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে তৈরি করা হয়েছে টিকটক কমিউনিটি গাইডলাইনস। বৈষম্য, হয়রানি বা সহিংসতা প্রচার করে, এমন কনটেন্টের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে প্ল্যাটফর্মটি।শুধু প্রতিক্রিয়াশীল উদ্যোগ নয়; একইসাথে সক্রিয় কৌশলের মাধ্যমে কমিউনিটির প্রত্যেকের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা এর লক্ষ্য।

বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তি তুলে ধরা : টিকটক কমিউনিটি গাইডলাইনস বিধি-নিষেধ ছাড়াও, বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তির বিষয়গুলোকেও প্রাধান্য দেয়। যেখানে ব্যবহারকারীদের অনন্য দিকগুলো এবং তাদের পরিচয়কে তুলে ধরতে উৎসাহিত করা হয়। একই সাথে, প্ল্যাটফর্মটি সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতা এবং সংশোধনের ওপর বিশেষভাবে নজর দেয়। যার ফলে প্ল্যাটফর্মটিতে বজায় থাকে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। ইতিবাচক আচরণকে উৎসাহিত করা এবং নেতিবাচক দিকগুলোর বিরুদ্ধে সতর্ক করা- এই দ্বৈত দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে কীভাবে আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি গড়ে তোলা যায়, সেটিরই দৃষ্টান্ত স্থাপন করে টিকটক।

ভাইরাল চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে সতর্কতা : ডিজিটাল যুগে বিনোদনমূলক কনটেন্টগুলোর মধ্যে একটি হলো ভাইরাল চ্যালেঞ্জ। এই ভাইরাল চ্যালেঞ্জগুলো তৈরি করা প্রায়ই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে। যেসব কনটেন্ট সেলফ হার্ম, ইটিং ডিসঅর্ডার বা অন্য যেকোনো ধরনের বিপজ্জনক আচরণ প্রকাশ করে, সেগুলো শনাক্তকরণ এবং অপসারণে তৎপর টিকটক। সাধারণত যারা খুব সহজেই প্রভাবিত হয়, তারা অনলাইনে এধরনের ঝুঁকির কার্যকলাপগুলো অনুকরণ করতে বেশি প্রলুব্ধ হয়। তাই এমন ব্যবহারকারীদের জন্য টিকটকের সতর্কতাগুলো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তরুণদের জন্য সুরক্ষা : ১৩ বছরের কম বয়সি ব্যবহারকারীদের কাছে টিকটক প্ল্যাটফর্মটি অ্যাক্সেসযোগ্য থাকলেও তাদের জন্য রয়েছে বয়স-উপযুক্ত কনটেন্ট ফিল্টারিং এবং কিছু বিশেষ বিধিনিষেধ। এই পদক্ষেপগুলোর লক্ষ্য হলো ক্ষতিকারক বা অনুপযুক্ত বিষয়বস্তু থেকে অপ্রাপ্তবয়স্কদের দূরে রাখা, যা আজকের ডিজিটাল দুনিয়ার ঝুঁকিগুলোর মধ্যে অন্যতম।

ভুল তথ্য অপসারণ : বর্তমানে অনলাইনে ভুল তথ্যের মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে। ভুল তথ্য শুধুমাত্র জনমতকেই বিকৃত করে না বরং বাস্তব জীবনেও এটি প্রভাব ফেলে। ভুল তথ্য রোধ করতে টিকটক তথ্য-পরীক্ষা এবং বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট সরিয়ে ফেলার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নেয়। পুনরাবৃত্তি এবং স্বচ্ছতা : টিকটক কমিউনিটি গাইডলাইনসের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর পুনরাবৃত্তিমূলক প্রকৃতি। ব্যবহারকারীর প্রতিক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শে এই গাইডলাইনসের নিয়মগুলো তৈরি করা হয়েছে, যা ডিজিটাল ক্ষেত্রের চলমান পরিবর্তনগুলোকেও বিবেচনা করে। টিকটক এর কনটেন্ট মডারেশন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখে। অন্যদিকে, এর রিপোর্টিং সিস্টেমও ইউজার-ফ্রেন্ডলি, যার ফলে ব্যবহারকারীরা প্ল্যাটফর্মটি নিরাপদ রাখতে সহজেই অংশগ্রহণ করতে পারে।

সম্মিলিত প্রচেষ্টা : ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে টিকটক কমিউনিটি গাইডলাইনস একটি মানদ- হয়ে উঠেছে। তবে, এই মানগুলো ধরে রাখার দায়িত্ব টিকটকের একার নয়। এটি এমন একটি বাধ্যবাধকতা, যেখানে প্রয়োজন প্ল্যাটফর্মের সব ব্যবহারকারী এবং বৃহত্তর ডিজিটাল কমিউনিটির সম্মিলিত প্রচেষ্টা। ডিজিটাল জগতের জটিল ক্ষেত্রগুলোতে টিকটক কমিউনিটি গাইডলাইনস ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। অনলাইনকে সবার জন্য একটি নিরাপদ, এবং শ্রদ্ধাশীল জায়গা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য, কীভাবে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হয় এবং নেয়া উচিত, সেটিরই একটি দৃষ্টান্ত দিয়েছে টিকটক।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত