ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঢাকায় মার্কিন কমার্শিয়াল কাউন্সিলর

বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নাটকীয়ভাবে বেড়েছে

বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নাটকীয়ভাবে বেড়েছে

গত এক দশকে বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর (ফরেন কমার্শিয়াল সার্ভিস) জন ফে বলেছেন, গত এক দশকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এর প্রসার নাটকীয়ভাবে ঘটেছে।

তিনি বলেন, তবে দুই দেশের বাণিজ্য সীমিতসংখ্যক কয়েকটি পণ্যের মধ্যে আটকে আছে। আর্থিক কিছু নীতির সংস্কার ও মার্কিন বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে নতুন নতুন পণ্যের মাধ্যমে বাণিজ্য প্রসারের সুযোগ রয়েছে।

গতকাল ঢাকায় আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) সংগঠনের নিয়মিত মাসিক মধ্যাহ্নভোজ সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তব্য দেন তিনি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ ও সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বক্তব্য দেন।

মার্কিন কূটনীতিক আরো বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি মূলত পোশাকনির্ভর এবং যুক্তরাষ্ট্র ইস্পাত ও কৃষির মতো কয়েকটি পণ্য রপ্তানি করে। কিন্তু স্বাস্থ্যসেবা, আইটি, শিক্ষা, জ্বালানি এবং বাণিজ্য অবকাঠামো খাতে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের একসঙ্গে কাজ করার এবং বাণিজ্য বাড়ানোর বিপুল সুযোগ রয়েছে। তিনি এসব খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বাংলাদেশের বিনিয়োগ ও রাজস্ব নীতি এবং মেধাস্বত্ত্ব আইনের কিছু জায়গায় সংস্কার এবং অবকাঠামো খাতের উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন। জন ফে বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণির স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, ভোগ্যপণ্য এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিংসহ আরো অনেক খাতের বিদ্যমান চাহিদা মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। আগামীতে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বাজার হয়ে উঠতে পারে।

তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ফরেন কমার্শিয়াল সার্ভিস অফিস বা এফসিএসএ খুলেছে যার কাজ হলো মূলত মার্কিন কোম্পানি বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি কোম্পানিকে বাংলাদেশে ব্যবসা করার বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের ১০০টিরও বেশি অফিস রয়েছে। আমরা নিয়মিত মার্কিন কোম্পানিগুলোকে নতুন বাজারে প্রবেশের ব্যাপারে কাউন্সেলিং করছি। বাংলাদেশি কোনো কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের নির্দিষ্ট কোনো পণ্য, সেবা বা প্রযুক্তি আমদানি করতে চাইলে, এফসিএসএ সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করে দেবে বলে তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, অর্থনীতিবিদ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত