উন্নয়নকাজ পরিদর্শনকালে মুখ্য সচিব
সহসাই কক্সবাজারে নামবে দেশি ও আন্তর্জাতিক বিমান
আরো ৩ হাজার জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবার পাচ্ছে আশ্রয়
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
তিনি বলেছেন, আগামী নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে কক্সবাজারের রানওয়েতে দেশি-আন্তর্জাতিক সব বিমান অবতরণ করবে। ৯ হাজার ফুট রানওয়ের সাথে সমুদ্র বক্ষে ১ হাজার ৭০০ ফুট রানওয়ে বাড়িয়ে ১০ হাজার ৭০০ ফুটের রানওয়ে হচ্ছে কক্সবাজারে, যা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছে এমন গর্বের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে উল্লেখ করে মুখ্য সচিব বলেন, রানওয়েতে বিমান অতরণের সময় যাত্রী অনুভব করবেন সমুদ্র নামছেন, যা পর্যটনকে পরিবর্তন ঘটাবে বলে মনে করেন তিনি। গতকাল দুপুরে কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক মানের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের খুরুশকুলের সর্ববৃহৎ জলবাযু উদ্বাস্তুদের জন্য হওয়া আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। যেখানে নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন, বাস্তবায়নকারী সেনা কর্মকর্তাসহ বসবাসরত উদ্বাস্তু পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করেন।
এ সময় তিনি গণমাধ্যমে বলেন, বিশ্বের সর্ববৃহৎ জলবায়ূ উদ্বাস্তুদের আশ্রয় কেন্দ্র এটি। যেখানে ১৯টি ভবনে এরই মধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন ৪ হাজার পরিবার। এখন আরো ৬০টি ভবন নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। আগামী ২ মাসের মধ্যে এখানে আরো আড়াই থেকে ৩ হাজার পরিবার আশ্রয় পাবেন।
১৯৯১ সালের প্রলয়ংনকারি ঘূর্ণিঝড়ে আশ্রয়হীন মানুষকে এক স্থানে নিয়ে এসে আশ্রয় দেয়ার একটি ইতিহাস প্রধানমন্ত্রী সৃষ্টি করেছেন মন্তব্য করে মুখ্য সচিব বলেন, এখানে প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। বিদ্যালয়ের জন্য জায়গা রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে স্কুল ও কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হবে। পরিবেশবান্ধব এই আশ্রয় কেন্দ্রে খেলার মাঠ, মসজিদ, মন্দিরসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও হবে।
খুরুশকুল আশ্রয় কেন্দ্রের পশ্চিমে নদীর কিনারে দুটি আধুনিক জেটিও হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, এখানের মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য গ্রিন হাউজ প্রক্রিয়া আধুনিক শুঁটকি পল্লি, জেলেদের জন্য ব্যবস্থা একই সঙ্গে পর্যটন বিকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া মুখ্য সচিব খুরুশকুলের বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বিমানবন্দরের পশ্চিমে সমিতি পাড়া পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।