সাধারণত সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দেয়া হয় গতিরোধক। তবে নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা না করে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার জিরানী-আমতলা সড়কের বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র ব্যক্তিগতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে গতিরোধক। যার ফলে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা লাখো মানুষকে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে অনুমোদন না নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের সামনে ইচ্ছামতো তৈরি করা হয়েছে এসব গতিরোধক।
জিরানী-আমতলা সড়কের দুই কিলোমিটার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ওই সড়কের জিরানী বাজার থেকে কলেজপাড় কলাবাগান স্ট্যান্ড পর্যন্ত মাত্র দুই কিলোমিটার দূরত্বে বিভিন্ন ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান ১২টি গতিরোধক দিয়েছেন। গতিরোধকগুলো শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল মান্নানের বাড়ির সামনে একটি, এর ৫০ গজ পর আরেকটি, চিড়িংগা পুকুরপাড়ে দুটি, টেংগুরিতে দুটি, স্প্রিং ট্রেড লিমিটেড কারখানার সামনে দুটি, ইকরা প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড হাইস্কুলের সামনে দুটি, আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান ডিগ্রি কলেজের সামনে একটি এবং কলাবাগানে একটি গতিরোধক রয়েছে। যার সবগুলোই ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছে। স্থানীয়রা জানান, যত্রতত্র গতিরোধক স্থাপন করায় সুবিধার চেয়ে ক্ষতি বেশি হচ্ছে বেশি। গতিরোধকের আগে-পরে নেই কোনো সতর্কীকরণ চিহ্ন বা জেব্রাক্রসিং। গতিরোধকগুলো এতো উঁচু করা হয়েছে, যার কারণে গাড়ি চালানোর সময় ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে চালক ও যাত্রীদের মধ্যে প্রায়ই বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। অপরিকল্পিত গতিরোধক নির্মাণের ফলে সাইকেল, ভ্যান, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি চালকরা প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়ছেন। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আর পরিকল্পনা ছাড়া স্থাপন করা উঁচু উঁচু এসব গতিরোধকই পথচারীর জন্য যেন মৃত্যুফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ব্যাপারে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ সড়কের মাত্র দুই কিলোমিটার রাস্তায় এতগুলো গতিরোধক অন্য কোথাও আছে কি না জানা নেই। এ রাস্তা দিয়ে চলাচলরত মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। অপ্রয়োজনীয় এসব গতিরোধক অপসারণের জন্য তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও জানান।
সাভার উপজেলা প্রকৌশলী তরুণ কুমার বৈদ্য জানান, সড়কে অপ্রয়োজনীয় গতিরোধকের কোনো অনুমোদন আমরা দেই না। এগুলো সড়কে কাজ করে চলে আসার পরেই স্থানীয়রা করে থাকে। এগুলো অপসারণে স্থানীয় চেয়ারম্যান ব্যবস্থা নিতে পারেন।