বৃহস্পতিবার রাতের বৃষ্টির প্রভাব

রাজধানীর বাজারে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সবজির দাম

প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কাঁচাবাজারে গতকাল প্রতি কেজির ঢ্যাঁড়স বিক্রি হয় ৬০ টাকা। অথচ আগের দিন ছিল ৫০ টাক। একইভাবে প্রতি আড়াইশ’ গ্রাম কাঁচামরিচের দাম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকা বিক্রি হয়। এভাবে প্রতিটি সবজির দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। হঠাৎ দাম বাড়ল কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টির কারণে পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ কমেছে। তাই সবজি কম এসেছে। এ কারণে দাম বেড়ে গেছে। তারা আরো বলেন, কয়েকদিন বিভিন্ন জায়গায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে ফসল রক্ষায় কৃষক ব্যস্ত। এ কারণে সবজির সরবরাহ কম। গতকাল সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে একই চিত্র দেখা গেছে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা কারওয়ান বাজার থেকে সবজি কিনে খুচরা বিক্রি করেন। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ঢাকায় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়, যা চলে মাঝরাত পর্যন্ত। বৃষ্টিতে বাজার এবং রাস্তায় পানি জমে থাকায় রাতেও কারওয়ান বাজারে বেচাকেনা কম হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা। যার প্রভাব পড়েছে সবজির দামে। গতকাল সকালে রাজধানীতে কাঁচাবাজারে ঢ্যাঁড়স, বেগুন, ফুলকপি, শসা, কাঁচামরিচসহ বিভিন্ন সবজির দাম বেড়েছে। প্রতিটি সবজির দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।

একদিনের ব্যবধানে বাজারে বেগুন বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকায়, ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ঝিঙা, ৮০ টাকা, উস্তা ১০০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকায়। বাজারে আসা নতুন আগাম শীতের সবজি শিম বিক্রি হয় প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২৪০ টাকা দরে। ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৮০ টাকায়, কাঁচামরিচ ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। আর প্রতিটি লাউ ৬০ ও বাঁধাকপি ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। সবজি বিক্রেতারা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে কাঁচাবাজারের আড়তগুলোতে পানি জমেছে। সে কারণে বেচাকেনা শুরু হতে দেরি হয়। সকাল ১০টা পর্যন্ত এখনো সব মাল এসে পৌঁছায়নি। ভাঙা ভাঙা মাল নিয়ে আসতে হয়েছে। এতে ভাড়াও বেশি দিতে হয়েছে। তারা আরো জানান, বৃষ্টিতে অনেক সবজি খেতের ক্ষতি হয়েছে। তাই কৃষকরা সবজি কম নিয়ে এসেছেন। আর সবজি কম পাওয়া গেলে দাম একটু বাড়েই। বেশি দামে কেনা বলে সবজির দাম একটু বেশি রাখতেই হচ্ছে। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ বৃষ্টি হোক বা যাই হোক, কোনো অজুহাত থাকলে বাজারে পণ্যের দাম বাড়বে এটা স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে গেছে। বিক্রেতারা দাম বাড়ানোর জন্য শুধু অজুহাত খোঁজে। বাজারে ইলিশ মাছের দামও বেশি। ৭০০ টাকার নিচে ছোট জাটকা ইলিশও কেনা যাচ্ছে না। ৮০০ গ্রাম সাইজের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকায়। আর এক কেজি সাইজ বা তার থেকে বেশি হলে দাম পড়ছে ১৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা। ইলিশের দাম বাড়ার প্রভাবে বাজারে অন্য মাছের দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা। কারণ হিসাবে ভারতে ইলিশ রপ্তানির ঘোষণার পর দাম বেড়েছে এমনটি জানিয়েছেন ইলিশ ব্যবসায়ীরা।