ঢাকা ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

১৮ বছরেও গড়ে উঠেনি শিক্ষক আবাসন সুবিধা

১৮ বছরেও গড়ে উঠেনি শিক্ষক আবাসন সুবিধা

দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষায় এগিয়ে থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়টি পিছিয়ে আছে আবাসন সুবিধায়। শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যার সাথে শিক্ষকদের আবাসন সমস্যার বিষয়টিও প্রকট। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরিতে কিছুসংখ্যক শিক্ষকের জায়গা হলেও সিংহভাগ শিক্ষককে আবাসন সুবিধা দিতে পারেনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। অধিকাংশ শিক্ষকই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূরে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাতায়ত করেন বাসে। ফলে যাতায়তে ব্যায় হচ্ছে তাদের মূল্যবান সময়। পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সুবিধা পাবেন।

তথ্য সূত্র অনুযায়ী, ২০০৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর অষ্টম জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫’ সংসদে উত্থাপিত হয় এবং ওই বছরেরই ২০ অক্টোবর সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে জগন্নাথ কলেজকে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করে। বিশ্ববিদ্যালয় ১৮ বছরে পা দিলেও শিক্ষকদের আবাসিক সুবিধা দিতে এখনো পর্যন্ত কোনো যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, নতুন ক্যাম্পাসের কাজ শেষ হলেই এ সমস্যার সমাধান হবে।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আবাসন সংকট আছে। প্রতিদিন আমাদের বাসে করে যাতায়াত করতে হয়। দূর থেকে আসা-যাওয়ার ফলে শিক্ষকরা ক্লান্ত হয়ে যান। এই ক্লান্ত শরীর নিয়ে পাঠদান ও গবেষণাকর্ম চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত পরিবহণ সুবিধাও নেই। অনেক সময় শিক্ষকরা বাসে দাঁড়িয়েও আসেন। যদিও কিছু ব্যাচেলর শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরিতে থাকার সুযোগ পেলেও তা খুবই কম। আবাসনব্যবস্থা আমাদের জন্য খুব জরুরি।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় একটা অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। কেরানীগঞ্জে যে ক্যাম্পাস হচ্ছে, ওখানে যাবতীয় ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকলে পড়াশোনা, গবেষণা করা ও শিক্ষার্থীদের সময় দেয়া যায়। আবাসন সুবিধা না থাকায় এটি হচ্ছে না। বাসে করে যাতায়াতে অনেক সময় নষ্ট হয়। অনেক সময় আধা ঘণ্টার রাস্তায় জ্যামের কারণে দেড় ঘণ্টা লাগে। যাতায়াতে শিক্ষকদের যে সময়টা চলে যায়, এই সময়টা যদি শিক্ষকরা গবেষণাতে কাজে লাগাতে পারতেন তাহলে অনেক ভালো হতো।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীলদলের একাংশের সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, আমাদের কোনো আবাসিক সুবিধা নেই। কেরানীগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ক্যাম্পাসটি তৈরি হচ্ছে তা কবে সম্পূর্ণ হবে; তা আমরা এখনো পর্যন্ত জানি না। আমরা যারা সিনিয়র শিক্ষক আছি আমরা কি ওখানে সুযোগ পাব কি না! বাসে করে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। ৮টা থেকে ৪টা অফিস টাইম। এক শিফটে আমাদের বাস চলে। আগে সন্ধ্যার পরে একটা সুবিধা ছিল কিন্তু ওটা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। কোনো শিক্ষক যদি চান গবেষণা বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের কারণে ৪টার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবেন, তাহলে তার জন্য এটি কঠিন হয়ে যায়। আমাদের অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু বাস এক শিফটে চলে, এটা কেন আমি জানি না, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না?

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত