ঢাকা ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘স্ত্রী সন্তান মিলে আট টুকরো করে ফেলে দিয়েছে ব্যাগ ভর্তি লাশ’

‘স্ত্রী সন্তান মিলে আট টুকরো করে ফেলে দিয়েছে ব্যাগ ভর্তি লাশ’

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন ১২ নম্বর ঘাটের কাছে সড়কের পাশে ট্রলি ব্যাগে পাওয়া মস্তকবিহীন আট টুকরো লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। উদ্ধার করা খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ওই ব্যক্তির নাম মো. হাসান (৬২)। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের বরইতলী এলাকার সাহাব মিয়ার ছেলে। মরদেহের আঙুলের ছাপ নিয়ে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। তবে এখনো মস্তকের সন্ধান মেলেনি।

গতকাল শনিবার সকালে নগরের ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড এলাকায় একটি বস্তা থেকে মো. হাসানের শরীরের অবশিষ্ট অংশও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ও সন্তান মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করেছে পিবিআই।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে লাগেজের ভেতর থেকে মরদেহের হাত-পা ও আঙুলের আট টুকরা খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছিল। ঘটনা তদন্তে কাজ শুরু করে পিবিআই।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, মরদেহের আঙুলের ছাপ নিয়ে নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এরপর তার স্ত্রী ও সন্তানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, মো. হাসান দীর্ঘ ২৭ বছর আলাদা ছিলেন। সম্প্রতি তিনি স্ত্রী-সন্তানের কাছে ফিরে আসেন। তবে এর আগে হাসানকে মৃত উল্লেখ করে সন্তান মোস্তাফিজুর জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে। তিনি ফিরে আসায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী সড়কের জমির ভিলার ৭ নম্বর বাসায় স্ত্রী ও সন্তান মিলে তাকে খুন করে। এরপর মরদেহ কেটে টুকরা টুকরা করে লাগেজ ও বস্তায় ভরে পতেঙ্গা ও আকমল আলী রোডের পাশে ফেলে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত