ফল এমনিতেই স্বাস্থ্যকর। আর সেই ফলটি যদি হয় পেঁপে, তবে তো কথাই নেই! স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে এ ফলের জুড়ি মেলা ভার। পেঁপের জুসে রয়েছে একাধিক উপকারী উপাদান। তাই সুস্থ-সবল জীবনযাপন করার ইচ্ছা থাকলে এই পানীয়কে ডায়েটে জায়গা করে দিতেই হবে। তাহলেই দেহের একাধিক অঙ্গের হাল ফেরাতে পারবেন। পেঁপেতে রয়েছে জরুরি কিছু ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার, যা কিনা দেহে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে পারে। এমনকি এতে মজুত থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট একাধিক রোগের ফাঁদ এড়িয়ে যেতেও সাহায্য করে। তাই তো পৃথিবীর তাবড় পুষ্টিবিদেরা নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন। জানুন পেঁপের পুষ্টিগুণ।
ইমিউনিটি চাঙ্গা হবে? : ?ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা চাঙ্গা থাকলে একাধিক সংক্রামক রোগের ফাঁদ এড়ানো যাবে। তাই চিকিৎসকরা সবাকেই ইমিউনিটি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এজন্য নিয়মিত পেঁপের জুস বানিয়ে খেতে পারেন। এই পানীয়ে এমন কিছু ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই তো দীর্ঘ জীবন লাভের ইচ্ছে থাকলে এই পানীয়ের গ্লাসে চুমুক দিতে ভুলবেন না যেন!
পেট থাকবে সুস্থ-সবল? : গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বজহজমের মতো পেটের সমস্যায় ভুক্তোভোগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। বিশেষত, বাঙালিদের মধ্যেই এই রোগের প্রকোপ বেশি। তবে ভালো খবর হল, নিয়মিত পেঁপের জুসে চুমুক দিলেই কিন্তু এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি মিলতে পারে। এই জুসে রয়েছে পেকটিন নামক একটি উপাদান যা কি না, হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। তাই তো স্বাস্থ্য বিভ্রাট এড়াতে চাইলে পেটের সমস্যায় ভুক্তভোগীরা এই পানীয়ের সঙ্গে চটজলদি বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিন।
ডায়ারিয়ার মহৌষধ : অনেকেই বাদলদিনে ডায়ারিয়ার ফাঁদে পড়ে কষ্ট পাচ্ছেন। তবে প্রথমেই বলে রাখি, এই সময় পেট খারাপ হলেই চট করে অ্যান্টি-বায়োটিক খাবেন না। এতে সমস্যা বাড়বে। বরং এই ভুলের ফাঁদ এড়িয়ে সমস্যা সমাধানে খেতে পারেন পেঁপের জুস। এতে দেহে জলের ঘাটতি মিটবে। এমনকী কমবে ডায়ারিয়ার প্রকোপ। সুতরাং এবার থেকে পেট খারাপের খপ্পরে পড়লে এই পানীয় গলায় ঢালুন। এতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ সাহায্য করবে? : ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগের ফাঁদ এড়াতে চাইলেও নিয়মিত পেঁপের জুস খেতে হবে। কারণ এই পানীয়ে এমন কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যে দেহে, ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি আটকে দিতে পারে। এমনকি এই পানীয়ের গুণে প্রশমিত হবে প্রদাহও। তাই আর দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব নিজের ডায়েটে এই পানীয়কে জায়গা করে দিন। তাহলেই অনায়াসে শতায়ু হওয়ার পথে এগিয়ে যেতে পারবেন।
চোখের জ্যোতি বাড়বে? : আজকাল ৩০-এর পরই চোখের জ্যোতি কমছে। এমনকি এই বয়সেই ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের মতো জটিল অসুখের খপ্পরে পড়ছেন অনেকে। তবে এই নিয়ে বেশি চিন্তা না করে প্রায়দিন গলায় ঢালুন পেঁপের রস। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে। পেঁপের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’। আর এই ভিটামিন চোখের জ্যোতি বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকি এই ভিটামিনের ঘাটতি মিটে গেলে বয়সজনিত চোখর সমস্যাও এড়ানো সম্ভব হবে।