ঢাকা ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দুই মাসে ৫৩০৮ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ

দুই মাসে ৫৩০৮ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ

চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে ৫ হাজার ৩০৮ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। একই সময়ে কৃষক পূর্বের নেওয়া ঋণের ৫ হাজার ২৫১ কোটি টাকা ব্যাংকগুলোকে ফেরত দিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। কৃষিঋণকে সবসময়ই ইতিবাচক হিসেবে দেখেন ব্যাংক খাত-সংশ্লিষ্টরা। কারণ, এ ঋণে ঝুঁকি কম। বড় ঋণে অনেকে খেলাপিতে পরিণত হলেও কৃষিতে খেলাপির পরিমাণ অতি নগণ্য। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও এ ঋণে বেশ উৎসাহিত করছে। অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আদায় ও বিতরণ সন্তোষজনক বলেই জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। কৃষকের হাতে কম সুদে ঋণ পৌঁছাতে নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্তত ৫০ শতাংশ ঋণ বিতরণ বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে যেটা ছিল ৩০ শতাংশ। আবার কৃষিঋণের কত অংশ কোন খাতে বিতরণ করতে হবে, তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মৎস্য খাতে মোট লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ১৩ শতাংশ ও প্রাণিসম্পদ খাতে ন্যূনতম ১৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে হবে। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক কৃষি ও পল্লিঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এটি গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছর ৩০ হাজার ৮১১ কোটি টাকা কৃষিঋণের লক্ষ্য ছিল। আগস্ট পর্যন্ত কৃষিঋণের স্থিতি ৫৩ হাজার ২৩০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। যেখানে সার্বিকভাবে কৃষি খাতে ঋণ খেলাপি ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ বা ৩ হাজার ৯২৪ কোটি। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে কৃষকদের সবচেয়ে বেশি ঋণ দিয়েছে বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি)। এই দুই মাসে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৮৫৩ কোটি টাকা। এর পরই রয়েছে বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। ব্যাংকটি এ সময়ে বিতরণ করেছে ৪৮৮ কোটি টাকার ঋণ। এছাড়া বিদেশি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কৃষিঋণ বিতরণ করেছে ৩৯৭ কোটি টাকা, ইসলামী ব্যাংক ৩৫৩ কোটি এবং ব্র্যাক ব্যাংক ২২৩ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত