এবার কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) ভিডিও এডিটিং ফিচার নিয়ে আসছে ইউটিউব। এই এআই-ভিত্তিক ফিচারগুলো দিয়ে অল্প কিছু নির্দেশনার মাধ্যমে একটি ভিডিও নির্মাণে প্রয়োজনীয় টেক্সট, ছবি, মিউজিক ও অন্যান্য মিডিয়া তৈরি ও সমন্বয় করতে পারবে। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। ইউটিউবের এসব ফিচারের মধ্যে একটি হলো ‘ড্রিম স্ক্রিন’। গত ২১ সেপ্টেম্বর এই ফিচার ঘোষণা করে ইউটিউব। ফিচারটি ব্যবহার করে ছোট দৈর্ঘ্যরে ভিডিওতে ভিডিও বা ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড যুক্ত করা যাবে। আপাতত এটি ইউটিউব শর্টসের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ছোট ও বড় দৈর্ঘ্যরে উভয় ধরনের ভিডিও সম্পাদনায় সহায়ক এআই টুল আনার ঘোষণা দিয়েছে ইউটিউব। ইউটিউবের কমিউনিটি প্রোডাক্টসের ভাইস প্রেসিডেন্ট টনি রেইড গত বৃহস্পতিবার বলেন, কোম্পানিটি কিছু পণ্য ও ফিচার উন্মোচন করছে, যা নির্মাতাদের সৃজনশীল অভিব্যক্তির সীমা অতিক্রম করতে সাহায্য করবে। গত মার্চেই এ ধরনের টুল যুক্ত করার ঘোষণা দেয় ইউটিউব। ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি বাজারে আসার পর নিজেদের প্ল্যাটফর্মে এআই প্রযুক্তি যুক্ত করা চাপে পড়ে গুগল। সমালোচকরা গুগলকে সতর্ক করে বলে, মাইক্রোসফটের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে গুগল। বিং সার্ট ইঞ্জিনে ওপেন এআই’র নতুন চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি যুক্ত করতে মাইক্রোসফট ১৩ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে। চ্যাটজিপিটির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গুগল নিয়ে এসেছে বার্ড এআই। কয়েক মাস ধরে চ্যাটবটটিতে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করা হচ্ছে। গুগল পরীক্ষামূলকভাবে তাদের জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনে ‘সার্চ জেনারেটিভ এক্সপেরিয়েন্স’ ফিচারও যুক্ত করেছে। গুগলে কোনো কিছু অনুসন্ধান করলে এই ফিচার ইন্টারনেট ও অন্যান্য ডিজিটাল উৎস থেকে তথ্য নিয়ে সারাংশ তৈরি করে দিতে পারে। বার্ড এআইয়ে সম্প্রতি জিমেইল, গুগল ড্রাইভ এবং অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন থেকেও তথ্য খুঁজে দেওয়ার ফিচার যুক্ত হয়েছে। চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট বাইটড্যান্সের টিকটক ও মেটার ইনস্টাগ্রাম রিলের সঙ্গে কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে শর্টসে নতুন নতুন ফিচার আনছে ইউটিউব। ইউটিউব দাবি করছে, শর্টসে প্রতিদিন ৭০ লাখেরও বেশি ভিউ হয়। এখন নতুন এআই-ভিত্তিক টুল ব্যবহারকারী ও ভিডিও নির্মাতাদের আরো আকৃষ্ট করবে বলে আশা করছে ইউটিউব। কোম্পানিটি ইউটিউব ক্রিয়েট নামের আরেকটি নতুন মোবাইল অ্যাপের ঘোষণা দিয়েছে। এই অ্যাপ নির্মাতাদের ভিডিও তৈরির কাজকে আরো সহজ করবে। অ্যাপটিতে এডিটিং, স্ট্রিমিং, স্বয়ংক্রিয় ক্যাপশন তৈরি, ভয়েসওভার, ফিল্টার লাইব্রেরি ও রয়্যালটি ফ্রি মিউজিকসহ বিভিন্ন এআই-ভিত্তিক ফিচার থাকবে। বর্তমানে অ্যাপটির বেটা ভার্সন পাওয়া যাচ্ছে। এআইভিত্তিক ডাবিং, ভিডিওর জন্য মিউজিক ও সাউন্ড ট্র্যাক খুঁজতেও টুলটি সাহায্য করবে।