চট্টগ্রামে প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে জশনে জুলুস আজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার ৫১তম জুলুসে নেতৃত্ব দেবেন দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের হুজুর কেবলা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ। উপস্থিত থাকবেন সাজ্জাদানশিন পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মজিআ) ও শাহজাদা আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ। প্রতি বছর জুলুসে অর্ধকোটি মানুষের সমাগম হয়ে থাকে। এটি এখন চট্টগ্রামের ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে। মানুষ চায় জুলুস বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্থান পাবে। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডে স্থান পেলে চট্টগ্রামকেও সম্মানিত করবে। গেল বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলনে জুলুস আয়োজনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধর হয়। এবার জুলুস জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা-সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ-এ কাদেরিয়া সৈয়দিয়া তৈয়বিয়া থেকে সকাল ৮টায় শুরু হবে। বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জাপুল, কাতালগঞ্জ, চকবাজার অলিখাঁ মসজিদ, প্যারেড মাঠের পশ্চিম পাশ হয়ে, চট্টগ্রাম কলেজ, গণি বেকারি, খাস্তগীর স্কুল, আসকার দীঘি, কাজীর দেউড়ি, আলমাস, ওয়াসা, জিইসি, ২ নম্বর গেট হয়ে জামেয়া মাদ্রাসা মাঠে মাহফিলে আসবে। জোহর নামাজের পর দোয়া ও মোনাজাত হবে। এদিকে দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরীফের সাজ্জাদানশীন আওলাদে রাসূল হযরতুল আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ (মা.জি.আ.), আল্লামা পীর সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ (মা.জি.আ.) ও সাহেবজাদা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ্ (মা.জি.আ.) গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম এসে পৌঁছেছেন। আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় আজ চট্টগ্রামে ঐতিহাসিক জশ্নে জুলুস নেতৃত্ব দেবেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা থেকে বিকালে বাংলাদেশ বিমানযোগে শাহ্ আমানত (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছান তিনি। তার সফর সঙ্গী ছিলেন পিএইচপি ফ্যামেলির চেয়ারম্যান সুফি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ও আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মহসিন প্রমুখ। বিমানবন্দরে ও চট্টগ্রাম ষোলশহরস্থ আলমগীর খানকাহ্-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়ায় ফুলেল শুভেচ্ছাসহ লাল গালিচা সংবর্ধনা দেন আনজুমান ট্রাস্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট একিউআই চৌধুরী, সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, এডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারী মুহাম্মদ সামশুদ্দিন, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি মুহাম্মদ সিরাজুল হক, অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল সেক্রেটারি এসএম গিয়াস উদ্দিন শাকের, ফাইন্যান্স সেক্রেটারি মুহাম্মদ এনামুল হক বাচ্চু প্রমুখ। এদিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) জশনে জুলুস (আনন্দ র্যালি) উপলক্ষ্যে সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ উপলক্ষ্যে সিএমপি ট্রাফিক বিভাগ একটি রুট ম্যাপ দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত জশনে জুলুসের রুটগুলো হলো- নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন জামেয়া আহম্মদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা-বিবিরহাট (বামে মোড়)-মুরাদপুর- মির্জারপুল-পাঁচলাইশ থানার মোড় (বামে মোড়)-কাতালগঞ্জ-অলিখাঁ মোড়ু কেয়ারী মোড়, চট্টগ্রাম কলেজ-গণি বেকারি (ডানে মোড়)-খাস্তগীর স্কুল (ডানে মোড়)-আসকার দিঘী-কাজির দেউড়ি (ডানে মোড়)-আলমাস (বামে মোড়)-ওয়াসা (ডানে মোড়)-জিইসি মোড়ু ২নং গেট মুরাদপুর (বামে মোড়)-বিবিরহাট জামেয়া আহম্মদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ। ডাইভারশন পয়েন্টগুলো হচ্ছে জশনে জুলুস চলাকালে নগরীর বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জারপুল, পাঁচলাইশ থানার মোড়, মেডিকেল হতে অলিখাঁ মসজিদের মুখ, তেলিপট্টি মোড়, চকবাজার থানা রোডের মুখ, সিজিএস স্কুল মোড়, প্যারেড কর্নার, গণি বেকারি মোড়, জামালখান মোড়, চেরাগী পাহাড় মোড়, সার্সন রোডের মুখ, নেভাল এভিনিউ, স্টেডিয়াম গোল চত্বর, আলমাস সিনেমা মোড়, চট্টেশ্বরী মোড়, এসএইচ খান ফিলিং স্টেশন (ওয়াসা), জিইসি মোড়, ষোলশহর ২নং গেট, মুরাদপুর রোডের মুখে রোড ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে ডাইভারশন করা হবে।