রামুতে বনের ভেতর ঘর নির্মাণ

দখলবাজদের হামলায় রেঞ্জ অফিসারসহ আহত ২৮

প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এএইচ সেলিম উল্লাহ, কক্সবাজার

কক্সবাজারের রামুতে বনবিভাগের জায়গা দখল করে এনজিও’র টাকায় ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণাধীন ঘর উচ্ছেদ করতে গিয়ে দখলবাজদের হামলায় রাজারকুল রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসেনসহ ২৮ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে রাজারকুল সদর বিট কর্মকর্তা জহিরুল আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্র বলেছে, তার মাথায় ১২টি ও নাকে চারটি সেলাই দেয়া হয়েছে। গতকাল বিকালে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সূত্র মতে, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের রাজারকুল রেঞ্জের দারিয়ারদীঘি বিটের কম্বনিয়া এলাকায় বনভূমি জবরদখল করে একটি গ্রুপ ২০টির মতো পাকাঘর নির্মাণের কাজ চালিয়ে আসছিল। গত মঙ্গলবার খবর পেয়ে সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে বনকর্মীরা বাধা দেয়। এ সময় ৩০০ থেকে ৪০০ জবরদখলকারী লাঠিয়াল বাহিনী বনকর্মীদের আক্রমণ করে। এতে ২৮ জন বনকর্মী আহত হন। তাদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে রামু হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে অবস্থার অবনতি হলে রাজারকুল সদর বিট কর্মকর্তা জহিরুল আলম ও দারিয়ারদীঘি বিট কর্মকর্তা মো. আরজু মিয়াকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) আনিসুর রহমান বলেন, আহত ২৮ জনের মধ্যে বিট কর্মকর্তা আরজু মিয়া কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এবং রাজারকুল বিট কর্মকর্তা জহিরুল আলম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

তবে এখনো পর্যন্ত কোন এনজিও ঘর করার জন্য অর্থ দিয়েছে, তা শনাক্ত করা যায়নি। এদিকে গতকাল সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত রাজারকুল বিট কর্মকর্তা মো. জহিরুল আলমকে দেখতে যান চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাস, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম, কক্সবাজার ও টেকনাফের দায়িত্বরত সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) জিএম মো. মনিরুল ইসলাম। কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।

সরকারি জায়গাতে ঘর করতেছে একটি অপরাধ। উল্টো বনকর্মীর ওপর হামলা চালিয়েছে আরেকটি অপরাধ করেছে দখলবাজচক্র। কোন এনজিও তাদের অর্থায়ন করেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গতকাল দুপুরে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু তাহের দেওয়ান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। বনবিভাগের লোকজনের সাথে কথা হয়েছে। এজাহার দিলে মামলা রেকর্ড করা হবে।

বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। এদিকে স্থানীয়দের দাবি, বনবিভাগের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় নারীসহ ২০ জন আহত হয়েছে।