অন্যরকম

কৈলাসের রহস্য আজও অধরা

প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

আধুনিক এই পৃথিবীর হিমালয় আজো রহস্যের এক নাম। যেখানে অনেক রহস্যের সমাধান হয়নি। তারমধ্যে সব থেকে বড় রহস্য হলো কৈলাস। অনেকেই মনে করেন এটি অতিপ্রাকৃত শক্তির কেন্দ্র। তাই কৈলাসে সাধারণ পর্যটক তো বটেই বিজ্ঞানীরাও চড়তে ভয় পায়। দীর্ঘদিন ধরেই কৈলাস ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় একাধিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন অনেক পর্যটক- যার অধিকাংশই এখনো রহস্যে ঘেরা। কোনো উত্তর খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরাও। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটা ছবি, অনেকেই দাবি করে যেটি তুলেছে নাসা স্যাটেলাইট। সেই ছবিতে অস্পষ্ট হলেও দেখা যাচ্ছে ধ্যনরত মহাদেবের মূর্তি। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী কৈলাস মহাদেবের বাসস্থান। কিন্তু পৌরানিক গল্প অনুযায়ী এখানে অনেক দেবতাই বাস করেন। পুরাণ অনুযায়ী কেদারনাথ আর বদ্রীনাথের মতো ভগবান বিষ্ণুরও পছন্দের স্থান কৈলাস। রহস্যে ঘেরা এই পাহাড়ের সঙ্গে প্রবল মিল রয়েছে আর্যযুগে তৈরি ভারতীয় কুটির বা মাটির বাড়ির। অনেকেই আবার দাবি করেন এটি কোনো পাহাড় নয়, এটি পিরামিডের মতোই কিছু। যা প্রাকৃতিক নিয়মে তৈরি হয়নি। তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু কে বা কারা কবে এটি তৈরি করেছিল তা নিয়ে কেউ কোনো দাবি করে না। সবমিলিয়ে মানুষ যখন চাঁদে পাড়ি দিয়েছে তখনো রহস্যে মোড়া রয়েছে কৈলাশ- হিন্দুদের কাছে শিবঠাকুরের বাড়ি। কৈলাস চিনা ভূখণ্ডে অবস্থিত। কিন্তু কৈলাস আর মানস সরবর ঘিরে তৈরি হয়েছে হিন্দু ও বৌদ্ধদের পবিত্র ধর্মকেন্দ্র। কিংবদন্তী অনুসারে কৈলাস আর মানস সরবর সংলগ্ন স্থানেই মায়াদেবী শাক্যমুনি বুদ্ধদের গর্ভে ধারণ করেছিলেন। জৈন ধর্মালম্ববীদের কাছেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা কৈলাসকে পবিত্র মনে করেন। ২০০১ সালের আগেই সমস্ত উচ্চতম শৃঙ্গে পা রেখেছে মানুষ। কিন্তু কৈলাসের শৃঙ্গে এখনো মানুষের পা পড়েনি। এর কোনো ব্যাখ্যা এখনো নেই বিজ্ঞানীদের কাছে। তবে চেষ্টা যে হয় না তা নয়, দীর্ঘদিন ধরেই কৈলাস অভিযানের চেষ্টা হয়েছে। একে সমস্ত অভিযাত্রীরাই হার মেনেছে। অনেকেরই দাবি কৈলাসে রয়েছে অতিপ্রাকৃতি শক্তি। যা বসে আনা অসম্ভব। কারণ সেখানে পা রাখতেই নাকি বদলে যায় চেহারা, বেড়ে যায় বয়স, শোনা যায় সনাতন হিন্দু ধর্মের ওঁ, ঘণ্টার ধ্বনীও শুনেছেন কেউ কেউ। বরফে ফাটল থেকে বরফের পাহাড়- একাধিক বাধা তৈরি হয়েছে। হাল ছেড়েছেন আরোহীরা। চেষ্টা করেছিল চীনও। কিন্তু তারাও ব্যর্থ। তাই আজও অধরা কৈলাসের রহস্য। তবে অনেকেরই দাবি এটি পৃথীবির একদম মাঝখানে রয়েছে। তাই এখানে ঘটে অলৌকিক কাণ্ড। যার কোনো ব্যাখ্যা নেই।