আজ জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে আজ ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ পালিত হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আজ এ দিবসটি পালিত হচ্ছে। জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উৎপাদনশীলতা।’ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। এজন্য কৃষি, শিল্প ও সেবাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। রাষ্ট্রপতি বলেন, মানুষের চিন্তার জগত, জীবনধারা থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদন, সেবা প্রদানসহ সব ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আগমনী বার্তা আমাদের তাড়া করছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্মার্ট প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিকতা ও সংশ্লিষ্ট পরিবর্তন আত্তীকরণের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে অধিকহারে মানসম্পন্ন ও সহজলভ্য পণ্য ও সেবা উৎপাদন সম্ভব। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর নীতি ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি বলেন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি দেশের সব বেসরকারি শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ, গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন গোটা বিশ্বে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে বিবেচিত। গত এক দশকেরও বেশি সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। একই সময়ে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সকল সেক্টরে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। এজন্য জনগণের মধ্যে উৎপাদনশীলতা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।’