আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী ও ছেলের জবাইকৃত মরদেহ উদ্ধার
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আশুলিয়া প্রতিনিধি
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার গাজীরচট উত্তরপাড়া এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের ১২ বছরের ছেলের জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অন্তত তিন দিন আগে তাদের হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশসহ অপরাধ তদন্ত বিভাগ এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে নানা আলামত সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছেন।
গত শনিবার রাতে আশুলিয়ার গাজীরচট উত্তরপাড়া ফকির বাড়িমোড় এলাকার মেহেদী হাসানের মালিকানাধীন পাঁচতলা ভবনের চতুর্থতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন- ঠাঁকুরগাও জেলার পীরগঞ্জ থানার লোহাগড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে মোক্তার হোসেন (৫০), তার স্ত্রী শাহিদা বেগম (৪০) ও তাদের ছেলে মেহেদী হাসান জয় (১২)। শাহিদার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। স্বামী স্ত্রী দুজনেই আশুলিয়ায় পৃথক দুটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হলে আশপাশের বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা দরজায় ধাক্কা দিয়ে দেখেন ফ্ল্যাটের দরজা খোলা রয়েছে। পরে ঘরের বিছানার ওপর মা ও ছেলের রক্ত মাখা মরদেহ দেখতে পান তারা। পরে বাড়ির মালিক ও পুলিশকে খবর দেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি কক্ষ থেকে মা-ছেলের এবং একই ফ্ল্যাটের পাশের কক্ষ থেকে আরেকটি মরদেহ উদ্ধার করে। তাদের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠান হয়। স্থানীয়রা আরো জানান, এই পরিবারটি এই বাড়িতে গত ৭ থেকে ৮ বছর ধরে বসবাস করছিল। এ ঘটনার পর থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এত বড় ঘটনা এর আগে এলাকায় আগে হয়নি। তদন্তের আসা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসআই সালেহ ইমরান জানান, ঘটনাস্থলে এসে নানা আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে এটি যে পরিকল্পিত একটি হত্যাকাণ্ড, প্রাথমিকভাবে সেটাই বুঝা যাচ্ছে। তদন্ত চলছে তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
আশুলিয়া থানার এসআই জোহাব আলী বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বিছানার ওপর থেকে মা ও ছেলের এবং পাশের একটি কক্ষ থেকে আরো একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান পিপিএম বলেন, ‘একই পরিবারের তিনজনকে খুব নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ধারণা করছি, অত্যন্ত ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আমরা পুরো বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি শিগগিরই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারব।’