হৃদয়কে জবাই করে হত্যা
মুরগির খামারের খাবার বিক্রি করে দেয়া নিয়েই বিরোধ
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম থেকে অপহরণ করে কলেজছাত্র শিবলি সাদিক হৃদয়কে জবাই করে হত্যার মূলহোতাসহ দুই উপজাতীয় সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭ এর একটি দল। গত শনিবার নগরীর পতেঙ্গা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মুরগিকে পর্যাপ্ত খাবার না দিয়ে বিক্রি করে দেয়া নিয়ে বিরোধের জের ধরেই তাকে হত্যা করা হয় বলে গ্রেপ্তারকৃতরা র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের নিয়ে গতকাল সকালে নগরীর চান্দগাঁও এলাকার র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
এতে র্যাব কর্মকর্তারা জানান, মুরগিকে পর্যাপ্ত খাবার না দিয়ে বিক্রি করে দিতো খামারে কর্মরত নৃগোষ্ঠীর শ্রমিকরা। এ নিয়ে প্রতিবাদ করেন পোলট্রি খামারের ম্যানেজার শিবলী সাদিক হৃদয় (১৯)। এ কারণে খামারে কর্মরত ওই শ্রমিকদের সঙ্গে কয়েক দফা বাগবিতন্ডাও হয় তার। তখন থেকে শ্রমিকরা সিদ্ধান্ত নেয় হৃদয়কে উচিত শিক্ষা দেবে। আর উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য তাকে খামার থেকে অপহরণ করে চট্টগ্রামের রাউজান-রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী রঙিন পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ কলাপাতা দিয়ে ডেকে দেয়া হয়। মরদেহ যাতে শনাক্ত না হয় এ জন্য ছুরি দিয়ে শরীর থেকে মাংস পৃথক করে ফেলে দেয়।
র্যাব-৭ অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম গতকাল সকালে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া যুবক উচিংথোয়াই মারমা ও তার অন্যতম সহযোগী ক্যাসাই অং চৌধুরীকে শনিবার গ্রেপ্তারের পর তারা র্যাবকে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেয়। তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানাতে র্যাব-৭ চান্দগাঁও ক্যাম্পে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
র্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহবুব আলম বলেন, হৃদয়কে হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়া দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরই মধ্যে উচিংথোয়াই মারমাকে শনিবার পতেঙ্গা থানা এলাকা থেকে ও তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ক্যাসাই অং চৌধুরীকে নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।