আরসা প্রধানের একান্ত সহকারী নোমান গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’ (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহর একান্ত সহকারী ও অর্থ সমন্বয়ক মোহাম্মদ এরশাদ নোমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৫। নোমান ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই’র কক্সবাজার শাখার স্কোয়াড্রন লিডার রিজওয়ান রুশদি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অন্যতম একজন সন্ত্রাসী বলে জানিয়েছে র‌্যাব। গতকাল সোমবার ভোরে কুতুপালং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মোহাম্মদ এরশাদ নোমান চৌধুরী (২৭) তুমব্রু সীমান্তের জিরো লাইনের অবস্থানরত সাব্বির আহমেদের ছেলে। গতকাল দুপুরে র‌্যাব-১৫ এর কক্সবাজার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু বাজার সংলগ্ন এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থা ও র‌্যাবের যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই অভিযানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর গুলিবর্ষণ ও ধারালো অস্ত্রের আক্রমণে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার স্কোয়াড্রন লিডার জনাব রিজওয়ান রুশদী নিহত হন। আহত হন র‌্যাব সদস্য কনস্টেবল সোহেল বড়ুয়া। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে র‌্যাব নানাভাবে তৎপরতা চালাচ্ছে। তিনি জানান, এই তৎপরতার অংশ হিসেবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী হাফেজ নুর মোহাম্মদকে গত ২১ জুলাই এবং রহিমুল্লাহ প্রকাশ মুছাকে ২৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল ভোরে গ্রেপ্তার করা হয় নোমানকে। নোমান আরসা প্রধান আতাউল্লাহর একান্ত সহকারী ও সংগঠনটির অর্থ সমন্বয়ক উল্লেখ করে র‌্যাব অধিনায়ক জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নোমান গত ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বরের ঘটনায় অংশগ্রহণের কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। নোমান জানিয়েছে আমেরিকা প্রবাসী পিতার মাধ্যমে আরসা প্রধান আতাউল্লাহর সঙ্গে তার পরিচয়। পরে আরসার হয়ে দীর্ঘদিন সক্রিয়ভাবে কাজ করার ফলস্বরূপ আতাউল্লাহ তাকে তার একান্ত সহকারী ও সার্বক্ষণিক অস্ত্রধারী বডিগার্ড হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিল। এছাড়াও হুন্ডির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আরসার জন্য প্রেরিত অর্থের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে আসছে। প্রাপ্ত অর্থ আরসার বিভিন্ন ক্যাম্প কমান্ডারদের মাঝে পৌঁছে দেয় বলে সে স্বীকার করেছে। নোমানকে উখিয়া থানায় সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।