দাঁড়িয়ে সময় কাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা
জবিতে বাস সংকট যাতায়াতে দুর্ভোগ
প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
জবি প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থী। একটি ছাত্রী হল ছাড়া নেই আর কোনো হল। তাই বাধ্য হয়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে থাকতে হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মাধ্যমে এলেও দূর থেকে আসা শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস। শুধু শিক্ষার্থীই নয়, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু শিক্ষার্থীদের তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে তীব্র বাস সংকট। তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে যাতায়াত করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, গাজীপুর, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ থেকেও শিক্ষার্থীরা বাসে নিয়মিত যাতায়াত করেন। তবে ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মাত্র ৪০টি বাস। এরই মধ্যে একতালা বাস ৩০টি। দোতলা বাস ১০টি। মোট আসন সংখ্যা ২ হাজারের মতো। তাই শিক্ষার্থী তুলনায় পর্যাপ্ত আসন সংকট রয়েছে। যাতায়াত করার সময় সকল শিক্ষার্থী বসে যেতে পারেন না।
এ বিষয়ে বাসে যাতায়াত করা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আরমান হোসেন বলেন, নিয়মিত গাদাগাদি করে, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়। আমরা এই দুুর্ভোগের আবসান চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস বাড়ানো প্রয়োজন। আইন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান (জয়) বলেন, আমাদের হল নেই। বাসে করে নিয়মিত আসা যাওয়া করি। কিন্তু অধিকাংশ সময় দাঁড়িয়েই যেতে হয়। কারণ শিক্ষার্থীদের তুলনায় পর্যাপ্ত বাস নেই। দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই পরিবহন সংকট। এই সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করছি।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন খাতে রয়েছে বাসের চালক সংকটও। ৪০টি শিক্ষার্থী বাস থাকলেও চালক শুধু ৩২ জন। যাদের মধ্যে শুধু ১৯ জন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত। বাকিরা চুক্তিভিত্তিক কাজ করছেন। চালক না থাকার পাশাপাশি নেই বাসের সহযোগীও। সহযোগী সংকট থাকায় বাস চালক ও যাতায়াতকারীদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়।
সামগ্রিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, আমি নিযুক্ত হওয়ার পরে আরো অনেক বাস যুক্ত হয়েছে। চক্রাকার বাস চালু হয়েছে। বাস সংকট রয়েছে সত্য। তবে আগের চেয়ে কমেছে। এছাড়া আমাদের চালক সংকটও রয়েছে। উপাচার্য বরাবর চাহিদা দিয়েছি। আশা করছি, তিনি সুস্থ হয়ে দেশে আসলে বাস ও চালকের সংকট অনেকটা দূর হবে।