প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ
আশুলিয়ায় মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ অটোরিকশা
প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আশুলিয়া প্রতিনিধি
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও আশুলিয়ার সড়ক-মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশা-অটোরিকশা। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। অথচ আশুলিয়ার ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক এবং বাইপাইল আব্দুল্লাপুর মহাসড়কে চলছে এসব অবৈধ যান। হাইওয়ে পুলিশ এবং ট্রাফিক পুলিশের নাকের ডগায় এসব অবৈধ যান চলাচল করলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ সচেতন মহলের। তবে হাইওয়ে পুলিশের বলছে এসব বন্ধে তারা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন।
অবৈধ এসব বেটারিচালিত রিকশা-অটোরিকশার কারণে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। অপরদিকে অটোরিকশার কারণে বেড়েছে বৈদ্যুতিক অবৈধ ব্যবহার। বৈদ্যুতিক মোটরচালিত এসব রিকশায় ব্যাটারির চার্জ করতে বেড়েছে অবৈধ সংযোগও। যার ফলে আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে ঘটেছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা।
সরেজমিন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক এবং বাইপাইল আব্দুল্লাহপুর মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, শত শত ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশা-অটোরিকশা মহাসড়কে চলাচল করছে। রিকশা-অটোরিকশাগুলো জটলা করে মহাসড়ক দখল করে রাখছে। এর ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের সামনেই এসব তিন চাকার যান চলাচল এবং দীর্ঘ সময় যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন অটোরিকশা চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা বাধ্য হয়েই মহাসড়কে উঠছে। লিংক সড়কে চালালে সংসার চালাতেই তাদের হিমশিম খেতে হয়। এছাড়া পুলিশকে টাকা দিয়েই তারা মহাসড়কে ওঠে। হাইওয়ে পুলিশ গাড়ি ধরলেই দিতে হয় ২ হাজার ৬০০ টাকা। আর ট্রাফিক পুলিশ রেকার বিল নেন ১ হাজার টাকা। রেকার বিলের স্লিপ পাওয়া গেলেও হাইওয়ে পুলিশকে দেওয়া টাকার রশিদ দেন ২ হাজার টাকার, আর মোবাইলে আগে ম্যাসেজ আসলে এখন আর ম্যাসেজ আসে না। সায়েম নামের এক ইজিবাইক চালক জানান, মহাসড়ক থেকে পার্শ সড়কে ইজিবাইক রেখে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। হাইওয়ে পুলিশের এক এসআই এসেই তার গাড়ি ধরে। গাড়ি নিতে নিষেধ করা মাত্রই তাকে মারধর করে তার গাড়ি নিয়ে যান থানায়। বার বার অনুনয় বিনয় করেও তার কোনো লাভ হয়নি। জুটেছে লাথি আর পিটুনি।
এ ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হাসান জানান, আগের চেয়ে তাদের কার্যক্রম আরো বেড়েছে। প্রতিনিয়তই গাড়ি ধরে মামলা দেওয়া হচ্ছে। মামলা ভাঙ্গিয়ে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছে।
মারধরের ব্যাপারে ওসি বলেন, এ সংক্রান্ত অভিযোগ কেউ করেনি। করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হতো। আর মারধর তো করতেই পারবে না। সবাইকে বলা আছে মহাসড়কে অবৈধ অটোরিকশা উঠলেই সেগুলো আটক করে মামলা দিতে। মারধরের কোনো সুযোগ নেই।