এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

প্রথম মাসে টোল এলো পৌনে ৭ কোটি টাকা

প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর অভ্যন্তরীণ সড়কে গাড়ির চাপ কমাতে নেওয়া হয়েছিল ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। কিন্তু সেটি নগরীতে যানজট কমাতে না পারলেও অর্জিত হয়েছে যানবাহন চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা। বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে চুক্তি আছে, দৈনিক সাড়ে ১৩ হাজারের চেয়ে কম যানবাহন চলাচল করলে সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে। আর এ বিধান কার্যকর হওয়ার কথা ২০২৪ সালের ০১ জুন থেকে, যে সময় কাওলা থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত পুরো প্রকল্প চালু হবে। কিন্তু তার আগেই প্রথমাংশ উদ্বোধনের পর অর্জিত হয়েছে লক্ষ্যমাত্রা।

এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৮ দিনে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে গাড়ি চলেছে ৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫৫৮টি। এ সময় টোল আদায় হয়েছে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। তবে এর মধ্যে ৯৯ শতাংশই ব্যক্তিগত যান (প্রাইভেট কার), যার সংখ্যা ৮ লাখ ২৮ হাজার ৯৮৭টি।

এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করে লাভে আছে বিআরটিসি : এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করলে বেসরকারি গণপরিবহনগুলো যানজট এড়াতে পারত। কিন্তু চলতি পথের যাত্রী সংকট হবে এমন অজুহাত দেখিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করছে না অন্য কোনো গণপরিবহন। তবে গত ১৮ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন (বিআরটিসি) বাস চলাচল চালু করে। শুরুর দিনে আটটি বাস চলাচল করে সংস্থাটি রাজস্ব আয় করে প্রায় ৬৮ হাজার টাকা। তবে দ্বিতীয় দিন দ্বিগুণ হয়ে সংস্থাটি রাজস্ব আয় পায় প্রায় ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে বিআরটিসি বাড়িয়েছে বাসের সংখ্যা আর আয়ও বেড়েছে সংস্থাটির। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের শুধু প্রথমাংশ উদ্বোধন হওয়ায় এখনও চালু হয়নি একাধিক র‌্যাম্প। এখনো মহাখালী, বনানী ওঠার দুইটি র‌্যাম্প চালু হয়নি। তবে যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে তারা সুবিধা পাচ্ছে।

জানা গেছে, এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে সর্বনিম্ন সাড়ে ১৩ হাজার যানবাহন চলাচল না করলে সরকারকে দিতে হবে জরিমানা। তবে পুরোপুরি কাওলা থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত চালু না হওয়া ও ৮০ হাজারের বেশি গাড়ি না চলায় এখন যে টোল আদায় হচ্ছে তার পুরোটা পাচ্ছে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোগুলো। অন্যদিকে দৈনিক সর্বোচ্চ ৮০ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করলে যে রাজস্ব আদায় হবে সেটির ২৫ শতাংশ পাবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। আর সেতু কর্তৃপক্ষ প্রাপ্ত আয় থেকে ১০ শতাংশ দেবে রেলওয়েকে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আকতার জানান, পুরো এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে গাড়ি চলাচলের যে লক্ষ্যমাত্রা সেটি পূরণ হবে। তখন ৮০ হাজারের বেশি গাড়ি চললে রাজস্ব পাবে সরকার। এখন যেভাবে চলছে তাতে বলা যায় অনেকটা সুবিধাই হচ্ছে।