নিজ প্রচেষ্টায় মাগুরার নিভৃত পল্লির দিলারা আজ সফল ড্রাগন চাষি। নিজের ১ বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ করে বাজিমাত করেছেন মাগুরার শালিখা উপজেলার হাটবাড়িয়া গ্রামের দিলারা বেগম। এ বছর তার ড্রাগন চাষ থেকে ৫ লাখ টাকা আয়ের প্রত্যাশা। সরেজমিন হাটবাড়িয়ায় গিয়ে দেখা যায়, দিলারার স্বামী আরশ আলীকে সঙ্গে নিয়ে কোনো শ্রমিক ছাড়াই দিন রাত পরিশ্রম করে নিজ বাড়ির পাশে গড়ে তুলেছেন এই ড্রাগন বাগান। এ বিষয়ে নারী উদ্যোক্তা দিলারা বেগম জানান, ২০২০ সালে আমি ঝিনাইদহ হর্টিকালচার থেকে ড্রাগন চাষের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে আমার বাড়ির পাশে ১ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছি ড্রাগন বাগান। ৪৪০টি গাছ দিয়ে শুরু হয় চাষ। প্রথম বছর প্রায় ১ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করি। এ চাষে পরিশ্রম বেশি। নিয়মিত ক্ষেত পরিচর্যা আর সময়মতো সার ওষুধ দিলেই ড্রাগন চাষে আসে সফলতা। ২০২১ সালে আমার ৪০০টি গাছে ড্রাগন ফল আসে আরো বেশি। ওই বছর ড্রাগন বিক্রি হয় প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার। ২০২২ সালে আমি আরও বেশি পরিশ্রম করি। ওই বছর আড়াই লাখ টাকার বেশি আয় হয়। চলতি বছরও আমার ড্রাগন চাষ ভালো হয়েছে। আশা করছি এ বছর ৫ লাখ টাকার ফল বিক্রি করব। আমার বাগান থেকে প্রতি কেজি ড্রাগন ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি করি। জেলার বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ব্যাপারী এসে আমার বাগান থেকে ফল সংগ্রহ করে। আরশ আলী জানান, আমার নিজের দোকান আছে। তাই সারা দিন সময় দিতে পারি না দিলারাকে। প্রতিদিন সকালে আমি আর দিলারা মিলে পরিশ্রম করে গড়ে তুলেছি একই ড্রাগন ফলের বাগান। ড্রাগন ক্ষেত তৈরিতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে তাকে। বাগানে তার সঙ্গে আমি ক্ষেত পরিচর্যা করি। আমার স্ত্রী একজন পরিশ্রমী নারী উদ্যোক্তা। জেলা কৃষিবিষয়ক কর্মকর্তা সুফি মোহাম্মদ রফিক উজজামান বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগের মাধ্যমে খামারের বিভিন্ন চাষ সম্পর্কে আমরা পরামর্শ দিই। খামারের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে থাকি। রাহেলা বেগম একজন সফল ড্রাগন চাষি।