জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
ফের ট্রেজারার হতে বিতর্কিত ড. কামালের দৌড়ঝাঁপ
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
জবি প্রতিনিধি
২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার পদে নিয়োগ দেয়া হয়। তার মেয়াদ শেষ হতে আর মাত্র দুই মাস বাকি। ফের তিনি ট্রেজারার হওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে দৌড়ঝাঁপ করছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তার ফাইল। তবে শিক্ষক সমিতির দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে ট্রেজারার নিয়োগ দেয়া হোক। এর জন্য তারা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফের ট্রেজারার হওয়ার জন্য কামালউদ্দিনের নাম প্রস্তাবের ফাইল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। কামালউদ্দিন আহমদকে ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগে প্রথমবারের মতো লবিং তদবির করছেন তার ভগ্নিপতি কুমিল্লা-১ আসনের এমপি মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া। তিনি বিএনপি সরকারের আমলে সামরিক সচিব ছিলেন। নানা গণমাধ্যমে দেখা যায়, ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট সংসদীয় কমিটির এক বৈঠকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’ বলে তোপের মুখে পড়েন এই এমপি।
এদিকে ট্রেজারার পদে ৪ বছরের পুরোটা সময়জুড়ে বিতর্কিত কাজ করে সমালোচিত ছিলেন কামালউদ্দিন আহমদ। কখনো মানবতাবিরোধী আসামি সাকা চৌধুরীর পরিবার সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে লেকের টেন্ডার দিয়ে, আইন না মেনে টানা তিন বছর বাজেট নিজে উপস্থাপন না করে অর্থ পরিচালককে দিয়ে উপস্থাপন করে, আইনের তোয়াক্কা না করে নির্বাচনি প্রচারণায় গিয়ে, নিয়ম লঙ্ঘন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি নিজের মেয়ের বিয়েতে ব্যবহার করে, উপাচার্য না থাকায় তার গাড়ি-অফিস নিজের দখলে নিয়ে ব্যবহারসহ নানা কাজে বিতর্কিত হন তিনি। এসব ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে জাতীয় গণমাধ্যমে উঠে আসার পর সমালোচিত হন ট্রেজারার। এছাড়া সাকা চৌধুরীর পরিবার সংশিষ্ট কোম্পানিকে নিয়ম না মেনে টেন্ডার দেয়ায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদকে প্রশাসনিকভাবে চরম অদক্ষ হিসেবে উল্লেখ করে। তাকে টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটি থেকে অপসারণেরও সুপারিশও করা হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেছেন, ইংরেজির অধ্যাপক কামালউদ্দিন আহমদ ট্রেজারার হিসেবে শুধু সাক্ষরই করে গেছেন। বাজেট তৈরিসহ সকল কাজ করেছেন অর্থ পরিচালক। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সকলের মত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর থেকে কোনো এক অধ্যাপককে ট্রেজারার পদে নিয়োগ দেয়া হোক। কামালউদ্দিন আহমদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। আমরা শিক্ষামন্ত্রী, উপাচার্য ও শিক্ষা সচিবের কাছে চিঠি দিয়েছি।
সামগ্রিক বিষয়ে জানতে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি বলেন, এসব বিষয়ে কথা বলতে চাই না। এসব বিষয়ে কথা বলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। এরপর ফোন কল কেটে দেন।