ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শিক্ষক সমিতি

ড. কামালকে ফের জবির ট্রেজারার চান না শিক্ষকরা

ড. কামালকে ফের জবির ট্রেজারার চান না শিক্ষকরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার পদে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদকে ফের নিয়োগ না দিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষক সমিতি। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির লাউঞ্জে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. একেএম লুৎফর রহমান বলেন, স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অবদান অনস্বীকার্য। তবে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে যে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদের সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্পের কাজে নানা অনিয়মগুলো বিভিন্ন গণমাধ্যম ও পত্র-পত্রিকায় উঠে এসেছে।

দরপত্র মূল্যায়ন কমিটিতে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ আহ্বায়ক থাকা অবস্থায় সাকা চৌধুরীর পরিবার সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে লেকের টেন্ডার দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণে আইন ও বিধিবিধান অনুসরনে ব্যর্থ হয়েছে এবং চরম অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে বলে পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক গঠিত প্যানেল রায় দিয়েছে। ট্রেজারারকে কমিটি থেকে বাদ দেয়া সহ আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আমরা পিছিয়ে পড়ছি প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে ট্রেজারার নিয়োগের দাবি জানিয়ে শিক্ষক সমিতির নেতারা জানান, কোষাধ্যক্ষ পদে ড. কামালউদ্দিন আহমদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৬ নভেম্বর। আগামী ট্রেজারার নিয়োগে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে চাই। ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ ৫ বছর পূর্বেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন।

শিক্ষক সমিতির নেতারা আরো বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৫৬ জন অধ্যাপক রয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন অধ্যাপক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য এবং দুইজন উপ-উপাচার্য হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া প্রাইভেট বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া অতীতেও বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন অনেক অধ্যাপক।

শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলনে জানায়, উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার স্বার্থে অনতিবিলম্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্য হতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত সৎ এবং প্রশাসনিক ও গবেষণায় অভিজ্ঞ যেকোনো একজনকে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগদানের জন্য সরকারের আশু দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলামসহ বাকি নেতারা বক্তব্য প্রদান করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত