সিরাজগঞ্জে এবার চরাঞ্চলজুড়ে শীতকালিন আগাম সবজি চাষে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যেই হাটবাজারে এ সবজির দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীর তীরবর্তী এবার ৫টি উপজেলার চরাঞ্চলে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালিন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এরমধ্যেই শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চরের প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে এ আগাম সবজি চাষ করেছে কৃষকরা। সবজি খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা এবং আগামী ২ থেকে ১ সপ্তাহের মধ্যে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হতে পারে। এসব সবজির মধ্যে রয়েছে- সীম, মিষ্টি কুমড়া, শসা, লাউ, টমেটো, গাঁজর, শসা, ঢ্যাঁড়স, পালংশাক, বেগুন, মুলা, লালশাক ও বরবটি। বিশেষ করে বন্যা পরবর্তী সময়ে শীতকালীন আগাম সবজি চাষে ঝুকে পড়েছে কৃষকরা। তবে চৌহালী ও কাজিপুর উপজেলার ধুপুলিয়া, বাউশা, নাটোয়ারপাড়া, খাসরাজবাড়ি, মনসুরনগরসহ বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে এ লাভজনক সবজি চাষ বেশি হয়েছে। চৌহালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাজেদুর রহমান বলেন, এবার সামান্য বন্যা পরবর্তীতে উপজেলার অনেক চরাঞ্চলে কৃষকরা আগাম সবজি চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছে। বর্তমানে বাজারে দাম ভালো থাকায় উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে তারা এবং এসব চাষে কৃষি বিভাগের পরামর্শে তারা এ চাষাবাদ করছে। এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে আবাদ হয়েছে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর। এ বছর শেষের দিকে শীতকালীন সবজি চাষে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে ধারণা আশা করা হচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, শাকসবজি চাষে কৃষকদের বিভিন্ন সবজির বীজ ও সার দেয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবার সবকয়টি উপজেলার চরাঞ্চলে কৃষকরা শীতকালিন আগাম সবজি চাষ করছে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে সবজির দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।