যুক্তরাষ্ট্রে ৭৫ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ৩ দিনের ধর্মঘট শুরু করেছেন। বুধবার থেকেই বড় আকারের এই ধর্মঘট শুরু হয়। বলা হচ্ছে, সাম্প্রতিক ইতিহাসে দেশটিতে এত বড় ধর্মঘট আর হয়নি। ভয়াবহ মূল্যস্ফীতির মধ্যে দৈনন্দিন আয় কমে যাওয়া এবং জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে যাওয়ার কারণেই স্বাস্থ্য কর্মীরা ধর্মঘট শুরু করেছেন। ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন মূলত বেসরকারি একটি সংস্থার স্বাস্থ্যকর্মীরা। তারা সবাই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় অলাভজনক স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা কাইজার পারমানেন্টের কর্মী। এর আগে মূল্যস্ফীতির প্রতিবাদে হলিউডের শিল্পী ও কলা কুশলীরা ছাড়াও ডিট্রয়েটের গাড়ি নির্মাণ শিল্পের কর্মীরাও ধর্মঘট করেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ধর্মঘট পালনকারীরা বলছেন, তাদের কাজ বেশি করতে হয় অথচ রোজগার কম। এক স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, করোনা মহামারিতে তারা অনেক কিছু হারিয়েছেন। কিন্তু এ পর্যন্ত তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ওই কর্মী বলেন, তারা এখন খাদের কিনারায় এসে পৌঁছেছেন। চিকিৎসাকর্মীরা বলছেন, কর্মীর সংখ্যা কমে যাওয়াটা রোগীদের জন্য ভালো হবে না। দিনে তাদের ১২ ঘণ্টা কাজ করতে হচ্ছে। প্রায় সময়ই দেখা যাচ্ছে ২৫ থেকে ২৬ জন রোগীর বিপরীতে মাত্র একজন নার্স সেবা দিচ্ছেন। তাদের মতে, এটা কোনো আদর্শ সংখ্যা হতে পারে না। এক জায়গায় অনেক রোগীকে নিয়ে কাজ করতে গেলে সেটা চিকিৎসাকর্মীদের ওপরও প্রভাব ফেলে। কাইজার পারমানেন্টের কর্মীদের ৩ দিনের এই ধর্মঘটের কারণে ক্যালিফোর্নিয়া, কলোরাডো, অরিগন ও ওয়াশিংটনে প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওয়াশিংটন ডিসি ও ভার্জিনিয়ার অনেক কর্মীই আবার ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেছেন।