ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আদিলুর-এলানের সাজা বাড়াতে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল

আদিলুর-এলানের সাজা বাড়াতে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল

মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানের সাজা বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে বিচারিক আদালতের রায় বিষয়ে হাইকোর্টে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদিলুর রহমান খান এবং এএসএম নাসির উদ্দিন এলানের সাজা বাড়ানোর আর্জি পেশ করে হাইকোর্টে আপিল দাখিল করা হয়েছে। অবকাশ শেষে হাইকোর্টে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলে আমরা বিষয়টি আদালতে মেনশন করব। এরপর বিষয়টি আদালতের কার্যতালিকায় আসবে। এরপর প্রাথমিক শুনানির পর নিয়ম অনুযায়ী আপিল অ্যাডমিট (শুনানির জন্য গ্রহণ) হবে। পরবর্তীতে মামলা শুনানির জন্য প্রস্তুত হলে আপিলের ওপর শুনানি হবে।

এদিকে আদিলুর রহমান খান ও নাসির উদ্দিন এলানের দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে গত ২৫ সেপ্টেম্বর আপিল করা হয়েছে। আপিলে খালাসের পাশাপাশি তারা জামিনের আর্জি পেশ করেছেন। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে।

এর আগে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়ার অভিযানে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে আনা মামলায় মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে, যা অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এএম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।

২০১৩ সালে দায়ের হওয়া এই মামলার আসামি অধিকারের সম্পাদক আদিলুর এবং সংগঠনটির পরিচালক নাসির। তারা দুইজনই জামিনে ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে নেয়া হয়।

বিচারিক আদালতের রায়ে সাজা আইনানুগ হয়নি বলে দাবি রাষ্ট্রপক্ষের। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় সাজা ৭ বছর হলেও এ আসামিদের সাজা হয় ২ বছর। রায়ে বলা হয়, আসামিদের অতীতে অপরাধের কোনো রেকর্ড নেই। পাশাপাশি তাদের সামাজিক মর্যাদা বিবেচনায় নিয়ে মামলায় রায় দেয়া হয়। এটি আইনানুগ হয়নি বলে মনে করে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়ার ঘটনায় ৬১ জন নিহত হওয়ার কথা দাবি করেছিল অধিকার। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এই সংখ্যাটি ১৩ বলে জানানো হয়। সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে ওই বছরের ১০ জুন সাধারন ডায়েরি (জিডি) করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে সেটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত