সুসংবাদ প্রতিদিন

পাহাড়ে কাজু বাদাম চাষে আশার আলো

প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

শেরপুর জেলার গারো পাহাড়ে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হচ্ছে উচ্চমূল্যের কাজু বাদাম। এরই মধ্যে এসব এলাকার বাগানগুলোর কাজু বাদাম পরিপক্ক হতে শুরু করেছে। ফলে চাষিদের মুখেও হাসি ফুটতে শুরু করেছে। ফলে সীমান্তের পাহাড়িদের মনে আশার আলো জেগে উঠেছে। সেইসাথে অবহেলিত ও প্রত্যন্ত পাহাড়ি জনপদের অর্থনৈতিক চাকা ঘুরে যেতে পারে এ উচ্চমূল্যের কাজু বাদাম চাষে। তারা মনে করছেন পাহাড়ি অনেক অনাবাদি জমিতে আমদানিনির্ভর এ কাজু বাদাম চাষ করলে দেশের অর্থকড়িতে যোগ হবে নতুন ফসল। তেমনি স্থানীয় বেকারত্বের সমস্যার সমাধানসহ নতুন কর্মক্ষেত্রেরও শুরু হবে। শেরপুরের পাহাড়ি মাটি খুবই উৎকৃষ্ট হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যেই গাছগুলোতে বাদাম আসতে শুরু করেছে এবং আগামিতে আরো ফলন বাড়বে বলে আশা করছেন বাগান কৃষক। এদিকে গারো পাহাড়ে আমদানিনির্ভর এ উচ্চমূল্যের কাজু বাদামের চাষ হচ্ছে এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় অনেকে কৃষি উদ্যোক্তা ও বেকার যুবক বাগান দেখতে ছুটে আসছে এবং তারাও বাণিজ্যিকভাবে এ লাভজনক কাজু বাদাম চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছে। ঝিনাইগাতি উপজেলার গজনি এলাকার বাগানের কৃষক সোলেমান বলেন, কৃষি বিভাগের এ পাইলট প্রকল্প হচ্ছে এ কাজু বাদাম চাষ। আমার বাগানে গত বছর থেকেই ফুল আসতে শুরু করে এবং এবার ফুল ও ফল হয়ে পাকতে শুরু করছে। আমার ৫০ শতক জমিতে ২ শত গাছ রয়েছে, গত তিন বছরে আমার সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি আগামী বছর থেকে ফলন আরো বাড়বে এবং প্রতি গাছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ কেজি করে বাদাম পাওয়া যাবে। এতে ৮ শত থেকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে বাদাম বিক্রি করা যাবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. সুকল্প দাস জানান, উচ্চ মূল্যের এ কাজু বাদাম দেশের নতুন অর্থকরী ফসল। কৃষি বিভাগের মাধ্যমে কাজু বাদামের উৎপাদন বাড়ানোর প্রকল্প নেয়া হয়েছে। দেশে এ ফসলের অনেক ঘাড়তি রয়েছে। প্রতি বছর এই আদাম আমদানি করতে প্রচুর টাকা ব্যয় করতে হয়।