সরকারি মুরগি প্রজনন উন্নয়ন খামারের বেহাল অবস্থা

ডিমের অভাবে বাচ্চা উৎপাদন হচ্ছে না

প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জ সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে জনবল সংকটসহ বেহালাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে ওই খামারে উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নজর না দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৮২ সালে সিরাজগঞ্জ-নলকা সড়কের শিয়ালকোলে ৩ একর জমি ওপর এই সরকারি মুরগির প্রজনন খামারটি স্থাপন করা হয়। এ অঞ্চলের প্রান্তিক খামারিদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার জন্য সরকার এ খামার স্থাপন করে। এ লাভজনক প্রতিষ্ঠানটি পুরানো জরাজীর্ণ শেড, মুরগির পানি ও খাবারের পাত্রসহ জনবল সংকটে পড়েছে এবং খামারে আটটি শেডের মধ্যে চারটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে এ খামারে সাড়ে ৯০০ থেকে ১ হাজার মুরগি পালন করা হচ্ছে। সম্প্রতি এ খামারের প্রত্যেক শেডেই বিভিন্ন বয়সি মুরগি পালন করা হতো এবং বিধিমতে ডিম ও বাচ্চা বিক্রি করা হতো। এমন সমস্যায় পর্যাপ্ত ডিম উৎপাদন না হওয়ার কারণে এখন বাচ্চা উৎপাদনও হচ্ছে না এবং ৬৪ হাজার বাচ্চা উৎপাদন সক্ষম হ্যাচারি হাউজটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। অবশ্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই খামারের এক কর্মকর্তা বলেন, বছরে প্রায় সাড়ে ৫৫ লাখ ডিম উৎপাদন করা হতো। আর বাচ্চা উৎপাদন হতো ২ থেকে আড়াই লাখ। এসব বাচ্চা পার্শ্ববর্তী খামারগুলোয় সরবরাহ করা হতো। এ খামারে ১৭ থেকে ১৮ হাজার বাচ্চা পালন করা হতো। বর্তমানে এ খামারে মুরগি আছে সাড়ে ৯০০ এবং ডিম উৎপাদন হচ্ছে সাড়ে ৪০০। বাচ্চা উৎপাদনের হ্যাচারিটি বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এ খামারটি এখন নানা সমস্যার মধ্যে রয়েছে। খামারের বেহালাবস্থা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তবে এখনো ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা আসেনি বলে তিনি উল্লেখ করেন।