অপহৃত সাংবাদিক জসিম আজাদ মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার

কক্সবাজারের উখিয়ায় দৈনিক ভোরের কাগজ’র প্রতিনিধি ও অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জসিম আজাদকে উপজেলার জাদিমুরা এলাকা থেকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই বিষয়টি র‌্যাব-১৫ এবং উখিয়া থানা পুলিশকে জানালে দ্রুত পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন তারা। প্রায় দীর্ঘ ২ ঘণ্টা অভিযানের পর রাজাপালং কাশিয়ারবিল এলাকার ধানখেত থেকে আহত অবস্থায় জসিম আজাদকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১৫ সদস্যরা। উদ্ধারের সময় তার শরীরে মারধরের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। তবে অভিযানে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে আহত জসিম আজাদকে উদ্ধার করে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। তিনি এখন কক্সাবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার মাথার আঘাত একটু বেশি বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহত সাংবাদিক জসিম আজাদ জানান, আমি সন্ধ্যা ৭টার পরপরই উখিয়ায় অবস্থান করি। আমাদের ক্লাবের সভাপতির জন্মদিনের কেক কেটে উখিয়া থেকে কোটবাজার আসার পথে জাদিমুরা এলাকা থেকে কিছু অজ্ঞাত লোক আমাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে আমাকে মারধর করে অজ্ঞান করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে কাশিয়ারবিল নামক স্থানে ধানখেতে ফেলে চলে যায়। সেখানে জাদিমুরা এলাকা সেলিম নামের একজনকে চিনেছি। সে ছাড়াও তার নেতৃত্বে আরও পাঁচ থেকে ছয়জন সন্ত্রাসী ছিল। বাকিদের চিনতে পারিনি। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। তিনি র‌্যাব-১৫ কে অশেষ ধন্যবাদ জানান। তারা যদি দ্রুত অভিযান পরিচালনা না করলে তাহলে আরো বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। পাশাপাশি আমার সহকর্মীদের সহযোগিতা কখনো ভুলার মতো নয়।

উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্বদানকারী র‌্যাব-১৫ হোয়াইক্ষ্যং ফাঁড়ির ইনচার্জ (এডিশনাল এসপি) মো. হাফিজ বলেন, ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই আমরা উদ্ধার অভিযান শুরু করি। দুর্বৃত্তরা অভিযানের খবর পেয়ে ভিকটিমকে ধানখেতে ফেলে পালিয়ে যায়।

সেখান থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকেসহ তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করি। এখনো ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে পারিনি। তবে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদিকে সাংবাদিক সমাজ কক্সবাজারে র‌্যাবের দ্রুত পদক্ষেপ, অপহৃত সাংবাদিক জসিম আজাদকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।