ট্রেনে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলওয়ে প্রস্তাবিত ভাড়া পুনর্বিবেচনার দাবিতে রেল মন্ত্রণায়ের সচিব, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক, প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা, রেলমন্ত্রীর একান্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন একজন আইনজীবী। গতকাল বুধবার অভিজিৎ বিশ্বাস নামে ঢাকা জজ কোর্টের ওই আইনজীবী এ নোটিশ পাঠান। অ্যাডভোকেট অভিজিৎ বিশ্বাস বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের পক্ষে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে প্রস্তাবিত জনপ্রতি ভাড়া পুনর্বিবেচনা করে তা কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণে অনুরোধ করছি। অন্যথায় আমরা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হব। নোটিশে বলা হয়- গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের নন-এসির প্রস্তাবিত ভাড়া ৩৫০ টাকা এবং এসি চেয়ারের প্রস্তাবিত ভাড়া ৬৬৭ টাকা। কিন্তু ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নন-এসির ভাড়া ৩৪৫ টাকা এবং এসি চেয়ারের ভাড়া ৬৫৬ টাকা। লক্ষণীয় বিষয় হলো, ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গার দূরত্ব মাত্র ৭৭ কিলোমিটার, যেখানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ৩২১ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটের দূরত্ব বিবেচনায় ঢাকা-ভাঙ্গা রুটের দূরত্ব কম হওয়ায় ভাড়াও বেশ কম হওয়ার কথা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের চেয়েও বেশি ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। নোটিশে আরো বলা হয়, বর্তমানে প্রতি কিলোমিটার এসি শ্রেণির ভিত্তি ভাড়া ১ টাকা ৯৫ পয়সা এবং নন এসি ১ টাকা ১৭ পয়সা। সে হিসাবে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৭৭ কিলোমিটার দূরত্বে ভাড়া হওয়া উচিৎ নন এসি ৯০ টাকা এবং এসি ১৫০ টাকা ১৫ পয়সা। কিন্তু প্রস্তাবিত ভাড়া এই ভাড়ার চেয়ে প্রায় ৪ গুন বেশি নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। রেলওয়ে কমিটি যে ভাড়া আদায়ের প্রস্তাব করেছে, তা নিঃসন্দেহে জনস্বার্থবিরোধী।