ত্রিশালে বাসচাপায় দুই নারীসহ ছয়জন নিহত

প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ-ঢাকা চারলেন সড়কের ত্রিশাল উপজেলার চেলেরঘাটে দ্রুত গতির একটি বাসের চাপায় প্রাণ গেল দুই নারীসহ ছয়জনের। আহত হয়েছেন ১০ জন। গতকাল বুধবার সকাল পৌণে ৮টায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে চারজন গার্মেন্টস কর্মী এবং সবার বাড়ি পার্শ্ববর্তী এলাকায়। নিহত ও আহতরা অন্য একটি বাসের জন্য ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েছিলেন। পুলিশ ঘাতক বাসটি আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। চালক ও হেলপার পলাতক। এ ঘটনায় ত্রিশাল থানায় মামলা করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গতকাল সন্ধ্যায় নিহতদের মরদেহ আত্মীয়স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতরা হলেন ঈশ্বরগঞ্জের মারুয়াখালীর আলতাফ হোসেন (৬৫), ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চুরখাইয়ের কামরুজ্জামান লিটন (৩০), ত্রিশাল উপজেলার সতেরপাড়ার রিপা আক্তার (৩৫), দক্ষিণ তেতুলিয়ার জেসমিন আক্তার (৩২), নওপাড়ার সিরাজুল ইসলাম (৩০) এবং রাগামারার সোহেল মিয়া (৩৭)। এদের মধ্যে আলতাফ হোসেন, রিপা আক্তার ও সোহেল মিয়া হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। আহতদের মধ্যে পাঁচজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জানা যায়, সকালে শেরপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এসএস ট্রাভেলসের একটি বাস চেলেরঘাটে পৌঁছালে চাকা পাংচার হয়। ময়মনসিংহ ও ত্রিশালের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাসটিতে গার্মেন্টস কর্মীসহ অন্য যাত্রীরা উঠেছিলেন। তারা সড়কে দাঁড়িয়ে অন্য একটি বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। যাত্রীরা অন্য একটি বাসকে সিগন্যাল দিয়ে তাতে উঠছিলেন। এ সময় পেছন থেকে আসা ঢাকা মেট্রো জ ১৪-১০০৪ নম্বরের দ্রুতগতির ঘাতক বাসটি দাঁড়িয়ে থাকা বাস ও যাত্রীদের সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন প্রাণ হারান। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরো তিনজন মারা যান। এ ঘটনায় হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। বিক্ষুব্ধ গার্মেন্ট কর্মী ও স্থানীয় জনগণ সড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন। তিনি বাসচালককে গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।